India`s Rice Export Ban: ভারত চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আনতেই বিশ্ব জুড়ে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা...
India`s Rice Export Ban: ভারত চাল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের দেখাদেখি সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে রাশিয়াও। ২০২২ সালের শুরু থেকেই চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এসবের জেরে বিশ্বে নেমে আসতে চলেছে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা। কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে এই সমস্যার?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাল বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য। কিন্তু ঘটনাচক্রে অতি প্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্য রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এর জেরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রফতানিকারী দেশ ভারত। বিশ্বের মোট চাল-চাহিদার ৪০ ভাগই যায় ভারত থেকে। ভারত ছাড়া আর যে দেশগুলি চাল রফতানিতে শীর্ষে সেগুলি হল-- থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২০ জুলাই নন-বাসমতি সাদা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। আর এর জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ভারতীয় চালের সংকট দেখা দিয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সেখানকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে চাল কিনছেন।
চাল আমদানিকারক দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া। অভ্যন্তরীণ বাজারে ঘাটতি দেখা দিলে চাল আমদানি করে ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশও। ইদানীং আফ্রিকা মহাদেশেও চালের চাহিদা বাড়ছে। কিউবা এবং পানামাতেও চালের চাহিদা রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী আমদানি-রফতানি হয় মূলত চার জাতের চাল। এর মধ্যে সরু লম্বা দানার কম দামের 'ইন্ডিকা' চালই সবচেয়ে বেশি বেচা-কেনা হয়। গত বছর ভারত ১৪০টি দেশে মোট ২২ মিলিয়ন টন (সারা বিশ্বে মোটা চাল আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৬ মিলিয়ন টন) চাল রফতানি করেছে। যার মধ্যে ৬ মিলিয়ন টনই ছিল তুলনামূলক ওই কম দামি ইন্ডিকা গোত্রের চাল। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী যত চাল আমদানি-রফতানি হয়েছে তার ৭০ শতাংশই ছিল ইন্ডিকা! এদিকে ভারত সেই চাল রফতানিই সম্প্রতি বন্ধ করে দিয়েছে।
যার জেরে প্রমাদ গুনেছে বিশ্বের বহু দেশ। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তরফে বলা হয়েছে, ভারত এমন একটা সময়ে চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা আনল যেটা মোটেই 'ভালো সময় নয়।'
কেন ভারত চাল রফতানি বন্ধ করল?
দক্ষিণ এশিয়ায় অস্বাভাবিক আবহাওয়া চলছে। ভারতে বেশি বৃষ্টিতে বিপন্ন চাষবাস। পাকিস্তানের বন্যাও বিঘ্ন ঘটিয়েছে চাল সরবরাহে। এছাড়া এল নিনো-সহ অস্বাভাবিক সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে শস্যের উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসবের জেরে কোনও ভাবে চালের উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলে যাতে সেটা সামাল দেওয়া যায় তাই ভারত সরকার আগে থেকেই এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে।
আরও পড়ুন: Jawan Missing: অন্ধকার বাজার থেকে হঠাৎই উধাও জলজ্যান্ত এক জওয়ান! রক্তের দাগ কীসের?
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে খাদ্যপণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা নতুন না হলেও চাল রফতানির উপর ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা চাপোনর বিষয়টি অন্য। এর বড় রকম প্রভাব পড়বে বিশ্বে।