ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ এখন এক কুস্তির মঞ্চ। ছেলের প্যাঁচে বেকায়দায় প্রাক্তন কুস্তিগীর। প্রতীক বাঁচাতে সাইকেল নিয়ে জোরদার টানাটানি। বাতিল হল মুলায়মের ডাকা ৫ তারিখের সম্মেলন। তবে কি কিছুটা নরম সপা সুপ্রিমো? প্রশ্নটা ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উত্তরপ্রদেশে বাপ বেটার লড়াই। বেটা চায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। বাপ রাশ আলগা করতে নারাজ। দল নিয়ে দড়ি টানাটানির খেলায় অবাধ্য অখিলেশকে তাড়িয়েই দেন মুলায়ম সিং। তারপরই ছি ছিক্কার। উত্তর প্রদেশের আসন্ন ভোটে লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেশ। বাপকে মহা প্যাঁচে ফেলে বেটার সঙ্গেই দুশোর বেশি বিধায়ক। পরদিনই তাই ছেলেকে দলে টেনে নিলেন নেতাজি। তবে মঞ্চে তখনও পর্দা পড়েনি। রবিবার আরও জমাট হল গল্প। কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে বাবাকে দলের মেন্টর করে দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন অখিলেশ। অর্থাত্‍ বেটা চায় বানপ্রস্থে যাক বাপ। বাবার ঘনিষ্ঠদের বহিষ্কারও করে দেন সপার সদ্য নির্বাচিত সভাপতি। 


 


পাল্টা অখিলেশ ঘনিষ্ঠদের বহিষ্কার করলেন নেতাজি। ৫ জানুয়ারি পাল্টা সম্মেলনের ডাক দিলেন। কিন্তু ছেলে পন্থীরা নেতাজিকে পাত্তা দিতে নারাজ।  জন্মলগ্ন থেকে সাইকেলই ছিল সমাজবাদী পার্টির প্রতীক। তরুণ তুর্কি অখিলেশ দলের দখল নিয়ে ফেলেছেন। এখন বাকি প্রতীকের দখলদারি। তাই প্রতীক বাঁচাতে মরিয়া মুলায়ম। অমর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি চলেছেন তিনি। সাইকেল বাঁচাতে। 


 


একটি দলের মধ্যে বিবদমান দুই গোষ্ঠীই যদি একই প্রতীক দাবি করে, সে ক্ষেত্রে দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর কোনও গোষ্ঠীর হাতে প্রতীক তুলে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। আবার পুরনো প্রতীক বাতিল করে দিয়ে দুপক্ষকেই দুটি নতুন প্রতীক দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে কোনটা হয়, তা সময়ই বলবে। তবে প্রতীক বাঁচানোর চক্করে পাঁচ তারিখ দলীয়  সম্মেলন বাতিল করে দিয়েছেন মুলায়ম। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, নেতাজি কি তাহলে আর অবিসংবাদী নেতা নন? অখিলেশের সঙ্গে সন্ধি করা ছাড়া কি আর তবে কোনও উপায় নেই?