নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সাংবাদিক গ্রেফতারে যোগীর সরকারকে রীতিমতো ভর্তসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশান্ত কানোজিয়া নামে ওই সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-ও এ দিন যোগী সরকারকে এক হাত নিলেন। আজ, টুইটে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে একাধিক সাংবাদিক ভুয়ো, মিথ্যে খবর করেছেন, বিজেপি ও আরএসএস-এর মদতে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে, তাঁদের জেলে পুরলে খবরের কাগজ বা চ্যানেলে লোকের ঘাটতি হবে।” এর পর রাহুল গান্ধী বলেন, “উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বোকামি করছেন, অবিলম্বে সাংবাদিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নাগরিকের স্বাধীনতা অলঙ্ঘনীয়। তা নিয়ে কোনওভাবে আপস নয়। সংবিধান এর অধিকার নিশ্চিত করেছে, তাই তাকে লঙ্ঘন করা যায় না। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের –এও পর্যবেক্ষন, মতানৈক্য থাকতে পারে। প্রশান্তের এ ধরনের খবর হয়ত প্রকাশ বা লেখা উচিত হয়নি। কিন্তু কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েককে এ বিষয়ে ‘মহানুভব’ আচরণ দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রীদের পরিবেশন করা হল ফাইভ স্টার হোটেলের পচা ভাত


উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তিকে ‘কালিমালিপ্ত’ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন কানোজিয়া। সে ভিডিয়োতে দেখা যায়, এক মহিলা যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব রাখেন তিনি। ওই ভিডিয়ো সম্প্রচার করার অভিযোগে নয়ডার একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের মালিক এবং সম্পাদককে গ্রেফতার করে পুলিস।


প্রশান্তের আইনজীবী শদন ফরসত  আদালতকে জানায়, তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার বেআইনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিকদের গ্রেফতারে তীব্র সমালোচনা করে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যোগীর পুলিস।