নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল অমেঠিতে গিয়ে ইন্দো-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সকালে মোদীর ওই প্রকল্প উদ্বোধনকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ২০১০ সালে ওই কারখানার শিলান্যাস করেছিলাম। অনেক দিন ধরেই ওখানে ছোটোখাটো অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। কিন্তু মোদী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ আচরণে গতকাল ফের মিথ্যে বললেন। আপনি কি লজ্জিত নন!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উত্তর প্রদেশের অমেঠিতে করওয়ার অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হবে ইন্দো-রুশ যৌথ উদ্যোগে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেলের অত্যাধুনিক কালাশনিকভ মডেল। ওই বন্দুকে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি বেরতে  সক্ষম। মনে করা হচ্ছে, সেনা এবং আধাসেনার হাতে পুরনো মডেল ইনস্যাসের বদলে কিছু দিনের মধ্যেই চলে আসবে কালাশনিকভ। গত কাল রাহুল গান্ধীর গড়ে দাঁড়িয়ে মোদী বার্তা দেন, অমেঠিকে আর কোনও নেতার পরিচয়ে চিনবে না, এ বার একে-২০৩ রাইফেলের পরিচয়েই চিনবে মানুষ।


আরও পড়ুন- ‘বায়ুসেনা জঙ্গলেই যদি বোমা ফেলে আসে তাহলে ইমরান এত চিত্কার করছেন কেন?’


তবে, এ দিন ইউপিএ সরকারের আমলে কারখানা তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন মোদী। রাহুলের নাম না করে বলেন, ওই কারখানায় ১৫০০ কর্মী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ২০০ কর্মীর নিয়োগ হয়। মোদীর অভিযোগ, যে ভাবে দেশের নিরাপত্তাকে অগ্রাহ্য করছে, সে ভাবে বঞ্ছনার শিকার হয়েছে অমেঠিও।



আরও পড়ুন- অভিনন্দনের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট, চোট মেরুদণ্ডের নীচের অংশেও


উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে অমেঠির সাংসদ হয়ে এসেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং অমেঠি কেন্দ্র এক প্রকার গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। গত নির্বাচনে অমেঠিতে রাহুলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এ দিন স্মৃতির উদ্দেশে মোদী বলেন, “আপনারা ওনাকে এত ভালবাসা দিয়েছেন, কখনই মনে হয়নি তিনি এখান থেকে হেরে গিয়েছিলেন।” গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এ বারে অমেঠি থেকেই লড়তে পারেন স্মৃতি ইরানি।