বালতিতে চুবিয়ে প্রেমিকাকে খুন! ২ বছরের মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে দেহ লোপাট প্রেমিকের...
২০১৮ সালে মনোহর পূর্ণিমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু পাশাপাশি নয়নার সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে যান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বালতিতে চুবিয়ে গার্লফ্রেন্ডকে খুন করে প্রেমিক! তারপর স্ত্রীয়ের সাহায্যেই সেই দেহ লুকিয়ে চলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে তাঁদের ২ বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মৃতদেহ ফেলতে যায়। স্কুটারে প্রায় ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ যায় তারা। তারপর গুজরাটের ভালসাদের একটি খাঁড়ির কাছে মৃতদেহ ফেলে দেয়।
৩৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত মনোহর শুক্লা একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। অভিযোগ, মনোহর তার ২৮ বছর বয়সী প্রেমিকাকে তার নাইগাঁওয়ের বাসভবনে এক বালতি জলে ডুবিয়ে হত্যা করে। খুনের পর দেহ লুকিয়ে রাখে একটি স্যুটকেসে। তারপর স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে সেই দেহ লোপাট করে। অভিযুক্ত মনোহর শুক্লাকে মঙ্গলবার ভোরে ভাসাইয়ের এভারসাইনে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। পরে গ্রেফতার করা হয় তার স্ত্রী পূর্ণিমাকে।
মৃতার নাম নয়না মাহাত। পেশায় হেয়ার স্টাইলিস্ট ছিলেন নয়না। অগাস্টের মাঝামাঝি নয়নার দাদা বোনের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করে। তারপরই পুলিস তদন্তে নামে। তদন্ত এগোতেই পর্দাফাঁস হয় অপরাধের। পুলিসি জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে মনোহর। সে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে নয়না তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হামলার অভিযোগ দায়ের করে।
সে ওই মামলা দুটি তুলে নেওয়ার বার বার বলা সত্ত্বেও নয়না মামলা প্রত্যাহার করেনি। সেই আক্রোশ থেকেই খুন। ২০১৩ সালে নয়না মাহাত এবং মনোহর শুক্লা ভাসাইতে প্রতিবেশী ছিল। তখনই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এরপর ২০১৮ সালে মনোহর পূর্ণিমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু পাশাপাশি নয়নার সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে যান। বিয়ের এক বছরের মাথায় স্ত্রী জানতে পারেন গোটা বিষয়টি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। ট্যাটুর ভিত্তিতে লাশ শনাক্ত করা হয়।