জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির ইউটিউবার নমরা কাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার মালিকের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। প্রথমে ওই ব্যবসায়ীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা এবং পরে তাকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিস মঙ্গলবার জানিয়েছে। সোমবার তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ডিউটি ​​ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে তাঁকে চার দিনের পুলিস রিমান্ডে পাঠানো হয়েছিল বলে তারা জানিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাদিরের স্বামী এবং সহ-অভিযুক্ত মনীশ ওরফে বিরাট বেনিওয়াল পলাতক বলে পুলিস জানিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। বাইশ বছর বয়সী কাদিরের ভিডিয়ো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ৬১৭ হাজারেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে।


বাদশাপুরের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সি দীনেশ যাদব, অগস্ট মাসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত দম্পতি অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আদালতে যান বলে গুরুগ্রামের পুলিস জানিয়েছে।


তাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিল হওয়ার পরেই ২৬ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে সেক্টর -৫০ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তারা বলেছে যে কাদির এবং বেনিওয়াল দিল্লির শালিমার বাগের বাসিন্দা।


আরও পড়ুন: Viral Shocking Video: ইট, পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে যুবকের মাথা থেঁতলে খুন ৬ উন্মাদের!


সেক্টর-৫০ স্টেশন হাউস অফিসার ইন্সপেক্টর রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘কাদির অপরাধের কথা স্বীকার করেছে এবং আমরা তাকে পুলিস রিমান্ডে নিয়েছি চাপ দিয়ে নেওয়া টাকা এবং অন্যান্য আইটেমগুলি তার কাছ থেকে রিকভার করার জন্য। তার স্বামী এবং সহ-অভিযুক্ত মনীশ ওরফে বিরাট বেনিওয়ালকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে’।


দীনেশ যাদব একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা চালান। তার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন যে তিনি কিছুদিন আগে কাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং বেনিওয়াল তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে কাদির নিজের চ্যানেলে দীনেশের সংস্থার প্রচারের জন্য দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। দীনেশ তাঁকে সেই অর্থ দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: রাজস্থানেও জয় শ্রীরাম! স্লোগান শুনেই থামল মুখ্যমন্ত্রী কনভয়...


কিছু দিন পর কাদির দীনেশকে জানান তিনি দীনেশকে পছন্দ করেন এবং তাকে বিয়ে করতে চান বলেও জানান। অভিযোগে দীনেশ জানিয়েছেন তারা দ্রুত ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন।


দীনেশ আরও জানিয়েছেন, ‘অগস্ট মাসে আমি কাদির এবং মনীশের সঙ্গে পার্টি করতে একটি ক্লাবে গিয়েছিলাম। আমরা গভীর রাতে সেখানে একটি রুম বুক করেছিলাম। পরের দিন সকালে, যখন আমি ঘুম থেকে উঠি, কাদির আমাকে আমার ব্যাংকের কার্ড এবং (স্মার্ট) ঘড়িটি তাঁকে দিতে বলে। সে আমাকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)