সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রামে বাজ পড়ে মৃত ৫ , আহত ২২
অধীর রায়: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী ঝাড়গ্রাম । সোমবার দুপুর ১টার নাগাদ ঝাড়গ্রামের তিন জায়গায় বাজ পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । আর আহত হয়েছে ২২ জন । এদিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় ঝাড়গ্রামে । দুপুরের দিকে বৃষ্টির দাপট যেমন বাড়ে সেইসঙ্গে বাড়ে মেঘের গর্জন । দুপুর ১টার নাগাদ ধারাবাহিক বজ্রপাত হয় ঝাড়গ্রামের তিন জায়গায় । আর তাতেই মৃত্য হয় ৫ জনের । আহত হয়েছে ২২ জন ।
সাঁকরাইলের ধানঘরি এলাকায় জমিতে ধান লাগাচ্ছিলেন ৬ জন মহিলা। তাদের উপর বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩০ বছরের শিবানী কালিন্দী এবং ৩৫ বছর বয়সি আরও একজন মহিলা । বাজ পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন । তাঁদের ভাঙাগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
জাম্বনী থানার পরিহাটিতে জমিতে চাষ করতে গিয়ে বাজ পড়ে মারা যান নেপাল মূর্মূ । সেই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। যেখানে বাজ পড়েছে তাঁর পাশের জমিতে কাজ করছিলেন ১৪ জন । বৃষ্টি শুরু হতেই তাঁরা জমি থেকে উঠে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে রাস্তার পাশে যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে গিয়ে দাঁড়ান । কিন্তু সেখানেই আচমকা বাজ পড়ে । বাজ পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান শেখ মুক্তার।আগুনে ঝলসে আহত হন দুই শিশু সহ মোট ছজন।
এছাড়া পরিহাটি জমি থেকে পঁচিশ মিটার দূরে কার্যত পাশের আরেকটি জমিতে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাজ পড়ে । সেখান ১৪ জন জমিতে কাজ করছিলেন । ১৪ জনই গুরুতর জথম হয়েছেন । তাঁদের প্রত্যেককে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন বাজ পড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয় গোপীবল্লভপুরে । মৃত ব্যক্তির নাম ক্ষুদিল মহাপাত্র । বয়স ৪৮ বছর।মহুলি গ্রামে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে গরু আনতে গিয়েছিলেন সে । সেই সময় হঠাৎই বাজ পড়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ক্ষুদিল। বাড়ির লোকজন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবারও এই গোপীবল্লভপুরে বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল । গত ২৪ ঘন্টায় ঝাড়গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের । আহত ২২ ।