Day on Earth: আর `২৪ ঘণ্টা` নয়, দিন এবার `২৫ ঘণ্টা`র! কেন বদল লক্ষ-লক্ষ বছরের নিয়মে?
আসলে ৯ কোটি বছরের পুরনো ভূতাত্ত্বিক এক গঠন নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গিয়েছে, পৃথিবী থেকে চাঁদের ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে পৃথিবীর উপর। বিশেষ করে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্যের উপর।
কেন ২৪ ঘণ্টার বদলে দিনের দৈর্ঘ্য হবে ২৫ ঘণ্টা? কারণ, এটা প্রমাণিত যে, একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের একমাত্র উপগ্রহটি। পৃথিবী থেকে চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়ার কারণেই বেড়ে যাবে দিনের দৈর্ঘ্য। চাঁদ সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি কমে এবং দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ে।
তবে এমনটা হতে-হতে আরও ২০ কোটি বছর সময় লাগবে! মহাজাগতিক সময়ের নিরিখে এই ২০ কোটি বছর অবশ্য কোনও সময়ই নয়।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, বহু-বহু আগে, আদিম কালে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য অনেকটাই কম ছিল। আজ থেকে ১৪০ কোটি বছর আগে মাত্র ১৮ ঘণ্টাতেই দিন হত! ভাবা যায়?
এজন্য অ্যাস্ট্রোক্রোনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। কী এই অ্যাস্ট্রোক্রোনোলজি? সুদূর অতীতের সময় বা টাইম সম্পর্কে জানা যায় এই বিদ্যায়। এই পদ্ধতিতে অতি প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক সময়ের পরিমাপ করা সম্ভব। এ এমন এক প্রক্রিয়া যাতে আধুনিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করেই কয়েকশো কোটি বছরের পুরনো শিলা নিয়ে গবেষণা করা যায়।
পৃথিবীর প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক গঠন, তার পলির স্তর ইত্যাদি পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। সেই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, এখন আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হারেই পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। তবে কখনও বেশি গতিতে, কখনও কম।