নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গে গুজরাটে কাজ করে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে: অভিজিৎ
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁকে বামপন্থী অর্থনীতিবিদ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন পীযূষ গোয়েল। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রাহুল সিনহা। কিন্তু অর্থনীতিতে কোনও পক্ষ অবলম্বন তাঁর না-পসন্দ বলে জানালেন নোবেল জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, আমি পেশাদার। কাজের ক্ষেত্রে কংগ্রেস, বিজেপি বা রাজনৈতিক পরিচয় দেখেন না।
দেশে ফিরে একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''আমার অর্থনীতির ভাবনায় পক্ষপাতিত্ব করি না। একাধিক রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি।''
এমনকি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ বলেও মন্তব্য করেছেন অভিজিৎবাবু। অতীত চারণা করে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী বলেন, ''নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাট পরিবেষশ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। সত্যি বলতে কি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে ওরা। আর আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নেওয়া নীতিগুলি রূপায়ন হয়েছে।''
কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের রূপারেখা তৈরিতে তাঁর অবদান ছিল। সে কারণেই বিজেপির গোঁসা। তবে এক্ষেত্রেও নোবেল জয়ীর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে স্পষ্ট। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,''কত শতাংশ মানুষ একটা বিশেষ আয়ের নীচে রয়েছে, তা জানতে চাইলে কংগ্রেসের মতো বিজেপি সরকারকেও সহযোগিতা করতে পারি। ওরা জানতে চাইলে কি সত্যিটা বলব না? সেটাই বলেছি কংগ্রেসকে। পেশাদার হিসেবে সবার সঙ্গে কাজ করতে রাজি।''
শুক্রবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলেছেন, উনি বামপন্থী মানসিকতার। ন্যায় প্রকল্পের গুণগান গেয়েছিলেন। ভারতের মানুষ ওনার মতকে খারিজ করে দিয়েছে। রাহুল সিনহা আবার কটাক্ষ করেছেন, বিদেশিকে বিয়ে করলেই নোবেল পাওয়া যায়।
নোট বাতিলের বিরোধিতা করেছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। আর তাতেই বিজেপি নেতানেত্রীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি খোদ নরেন্দ্র মোদীও ঘণ্টাখানেক সময় নিয়েছিলেন অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানাতে।