Mahashivratri Puja 2023: মহারাজা তেজচন্দ্রের তৈরি এই মন্দির পেরিয়েছে ২০০ বছর! ভক্তেরা আজও কেন ছোটেন এখানে?
১৮০৯ সালে মহারাজা তেজচন্দ্র বাহাদুর এই মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন। আজও, এই ২০০ বছর পরেও শিবরাত্রি উপলক্ষে এখানে ভিড় জমে। আজ, শনিবারও ভিড় জমেছে। আজ সকালে কালনা ১০৮টি শিবমন্দিরে হাজির বিদেশি পর্যটকও।
আজকের এই বিশেষ দিনে দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ১০৮ শিব মন্দির চত্বরে হাজির হন। এ বছর শিবরাত্রি দুটি তিথিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আজ এবং আগামীকাল দুটি দিনই মন্দিরচত্বরে ভিড় থাকবে।
শিবরাত্রির এই বিশেষ দিনে কালনা ১০৮ শিব মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। শনিবার মন্দিরে হাজির হয়ে স্বপনবাবু বলেন, সকলের মঙ্গলকামনায় শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দিয়েছেন তিনি। বলেন এই ১০৮ শিব মন্দিরের পরিচর্যা দরকার।
ফ্রান্স থেকে আগত এক বিদেশি পর্যটক বলেন, ভারত একটি অপূর্ব দেশ। শিবমন্দিরের আর্কিটেকচার দেখে তিনি মুগ্ধ।
পূর্ব বর্ধমানের এই শিবমন্দির নব কৈলাস নামেও পরিচিত। রাজা তিলকচাঁদের মৃত্যুর পরে তাঁর বিধবাপত্নী রানি বিষ্ণুকুমারী স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি শিবমন্দির গড়ে দিচ্ছেন!
রানির স্বপ্ন সত্য করতে যথারীতি এই মন্দির তৈরি করা হয়। তৈরি করেন মহারাজা তেজচন্দ্র বাহাদুর। দুটি বৃত্তে মন্দিরগুলি গড়া হয়। বাইরের বড় বৃত্তটি তৈরি হয় ৭৪টি মন্দির দিয়ে। এর ভেতরে থাকে একটি ছোট বৃত্ত যাতে আছে ৩৪টি মন্দির। জপমালায় ১০৮টি দানা থাকে। ১০৮ হিন্দুবিশ্বাসে পবিত্র সংখ্যা। তাই ১০৮টি শিবমন্দির তৈরি করা হয়।