Andrew Symonds Death: `মাঙ্কিগেট` থেকে মদ্য়পান! সাইমন্ডসের জীবনের বিতর্কিত পাঁচ অধ্য়ায়
সাইমন্ডসের ক্রিকেট কেরিয়ারে সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় 'মাঙ্কিগেট' বিতর্ক। ২০০৭-০৮ সালে অনিল কুম্বলের ভারত টেস্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। সেই সিরিজের শুরু থেকেই জঘন্য আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছিল ভারত। বিশেষত সাইমন্ডসের একাধিক আউট দেনি আম্পয়াররা। সেখান থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। সিডনি টেস্টে সাইমন্ডস দাবি করেন যে, হরভজন সিং তাঁকে ‘মাঙ্কি’ বলেছেন। এর জেরে হরভজন তিন টেস্ট নির্বাসিত হন। কুম্বলে অ্যান্ড কোং এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠে গিয়েছিল বাইশ গজে।
সাল ২০০৮। সাইমন্ডসকে অস্ট্রেলিয়া বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ চলাকালীন। মাইকেল ক্লার্ক হয়ে গিয়েছিলেন ভাইস-ক্যাপ্টেন। সাইমন্ডস টিম মিটিংয়েও যোগ দেননি। সাইমন্ডস পরে জানান যে, আইপিএল থেকে প্রচুর টাকা পাওয়ার জন্য তাঁর আর ক্লার্কের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। ২০০৮ সালে ডেকান চার্জাস সাইমন্ডসকে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় দলে নেয়।
২০০৫ সালে কার্ডিফে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ পড়েন সাইমন্ডস। অজি অলরাউন্ডারের বাদ পড়ার কারণ ছিল মদ্যপান। ম্যাচের আগে সন্ধ্যায় নেশা করে বিতর্কে জড়ান সাইমন্ডস।
সাইমন্ডস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট খেলে ১৪৬২ রান করেছেন, ২টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি হাঁকান তিনি, নেন ২৪টি উইকেট ১৯৮টি ওয়ানডে এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন সাইমন্ডস। ওয়ানডে ক্রিকেটে করেছেন ৫০০০-এর বেশি রান। গড় ৩৯.৭৫। ছটি সেঞ্চুরি ও ৩০টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। নিয়েছেন ১৩৩টি উইকেট।
২০০৯ সালে সাইমন্ডসকে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। অজি দলে থেকে তৃতীয়বার শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অপরাধে এই শাস্তি ভোগ করেছিলেন তিনি। সাইমন্ডসের আচরণ তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে প্রশ্নচিহ্ণ তুলে দিয়েছিল।