ক্ষতিপূরণের টাকায় হচ্ছে রাস্তা, ৩৪ বছর পরও বঞ্চিত ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা
ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গ্যাস দুর্ঘটনা। ৩৪ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ওই গ্যাসের প্রকোপে এখন মারা যাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এখনও তাঁরা পাননি। এমনকি তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থাও হয়নি।
প্রতি বছর ডিসেম্বর এলেই সেইসব মানুষ রাস্তায় নামেন তাঁদের দাবি নিয়ে। এখন ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে সরকার যদি মুখ তুলে একবার তাকায়।
১৯৮৪ সালের ২-৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে লিক হয় বিষাক্ত মিথাইল আইসোসানাইট বা মিক গ্যাস। সরকারি হিসেবে মারা যান ১৫০০০ মানুষ।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রকোপে পঙ্গু হয়ে যান ৫ লাখ মানুষ। এদের পরবর্তি প্রজন্মও বয়ে বেড়াচ্ছে সেই অভিশাপ।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল তত্কালীন রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে দেশে থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিলেন ইউনিয়ন কার্বাইডের কর্ণধার ওয়েরন অ্যান্ডারসনকে।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করেছেন রাজ্যের একাধিক সংগঠন। এরা রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন ভেপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দিনের পর দিন অবহেলা করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
ভোপাল গ্রুপ ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাকশন-এর সদস্য রচনা ধিংড়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, এখনও ওই গ্যাস দুর্ঘটনায় গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ভুগছেন মানুষ। সুপ্রিম কোর্ট ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিত্সার জন্য যেসব নির্দেশ দিয়েছিল তার ৮০ শতাংশ পূরণ করা হয়নি। উপরন্তু ওই খাতে খরচের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল তা ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তা, নর্দমা তৈরিতে।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে আন্দোলনকারী গ্যাস পীড়িত মাহিলা স্টেশনারি কর্মচারি সংঘ-এর প্রধান রশিদা বলেন, এখনও পর্যন্ত ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার দূষণ আসপাশের ৪২টি বস্তিতে ছড়িয়েছে। এর মোকাবিলায় সরকার কিছুই করেনি।
ভোপাল গ্যাস পীড়িত মহিলা উদ্যোগ সংস্থার আধিকারিক আবদুল জব্বার বলেন, ৩৪ বছর পরও গ্যাস দুর্ঘটনায় পঙ্গু মানুষেদর চিকিত্সার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।