মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ের ক্ষমতা হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির, আভাস সমীক্ষার
শনিবার পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়- এই তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে মোদীর দল। সমীক্ষা বলছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ের ক্ষমতা হারাতে চলেছে বিজেপি। তিনটি রাজ্যেই লোকসভা ভোটের আগে আসতে চলেছে কংগ্রেসের সরকার।
এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের সমীক্ষার পূর্বাভাস, ১৫ বছর বাদে মধ্যপ্রদেশও ছত্তিসগঢ়ের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। আর রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজের জমানারও অবসান হচ্ছে।
তবে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি। দু'দলের মধ্যে ভোট শতাংশের ফারাক অত্যন্ত কম। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই বাজি জিততে পারে বিজেপি।
সমীক্ষা বলছে, ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ১২২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস। ১০৮টি পেতে পারে বিজেপি। ভোট শতাংশের হিসেবে কংগ্রেস পেতে পারে ৪২.২ ও বিজেপি ৪১.৫।
ছত্তিসগঢ়ে আবার ৯০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৭টি। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৪০টি আসন। ভোট শতাংশের হিসেবে কংগ্রেস ও বিজেপি পেতে পারে যথাক্রমে ৩৮.৯ ও ৩৮.২ শতাংশ ভোট।
তবে মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহান ও ছত্তিসগঢ়ের রমন সিং মুখ্যমন্ত্রীর পদে ভোটারদের প্রথম পছন্দ। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থাকা সত্ত্বেও তাঁদের জনপ্রিয়তা কমেনি।
মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির ফারাক নেই বললেই চলে। এই প্রেক্ষাপটে মায়াবতীর বসপা ও অন্যান্য ছোটদলগুলি বিজেপির ফায়দা করে দিতে পারে।
সমীক্ষার মতে, ১৪২টি আসন জিতে রাজস্থানের ক্ষমতায় ফিরতে পারে কংগ্রেস। বিজেপি পাচ্ছে মাত্র ৫৬টি আসন।
রাজস্থানে ভোট শতাংশের হিসেবে দুই দলের মধ্যে বিশাল ব্যবধান। কংগ্রেস পেতে পারে ৪৯.৯ শতাংশ ও বিজেপি ৩৪.৩ শতাংশ। ফলে বিজেপির পক্ষে রাজস্থানে ফিরে আসা বেশ কঠিনই বলে আভাস সমীক্ষার।
বসুন্ধরা রাজের চেয়ে সচিন পাইলটকে বেশি মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সচিন পাইলটকে চাইছেন রাজ্যের ৩৬ শতাংশ মানুষ। সেখানে ২৭ শতাংশ মানুষের পছন্দ বসুন্ধরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে পছন্দ করেছেন মাত্র ২৪ শতাংশ ভোটার।
লোকসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যের ভোট কংগ্রেস-বিজেপির কাছে কার্যত সেমিফাইনাল। এই লড়াইয়ে বিজেপির কাছ থেকে তিনটি রাজ্য কংগ্রেস ছিনিয়ে নিলে, ফাইনালের আত্মবিশ্বাস পেয়ে যাবেন রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধীরা। তাঁরা আরও জোটবদ্ধভাবে নামতে পারবেন ময়দানে।
এই তিনটি রাজ্য ছাড়াও ভোটগ্রহণ হতে চলেছে মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায়। ফলপ্রকাশ ১১ ডিসেম্বর।