বাড়ির লকারে রাখা ছিল ৬০ লক্ষ টাকা, কাউকে না-জানিয়ে বন্ধুদের বিলি করে দিল কিশোর
বাড়ির আলমারিতে রাখা ছিল ৬০ লক্ষ টাকা। ফ্রেইন্ডশিপ ডে-তে বন্ধুদের মধ্যে কেতা দেখানোর জন্য তা বন্ধুদের মধ্যে বিলি করে দিল ১০ম শ্রেণির ছাত্র। এমনকী প্রেমিকাকে একটি সোনার আংটিও না-কি উপহার দিয়েছে সে। ঘটনায় মাথায় হাত কিশোরের বাবার।
ঘটনার কথা জানা যায় কিশোরের বাবা ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাওয়ার সময়। আলমারি খুলে দেখেন গায়েব প্রায় সব টাকা। টাকা চুরি গিয়েছে ভেবে পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিসি তদন্তে প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরের বাবা নির্মাণশিল্পের ব্যবসায়ী। সম্প্রতি একটি বাড়ি বিক্রি করে ৬০ লক্ষ টাকা বাড়ির আলমারিতে রেখেছিলেন তিনি। কয়েকদিন পর সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য আলমারি খুলে দেখেন পড়ে রয়েছে মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা। বাকি ৪৬ লক্ষ টাকা চুরি গিয়েছে ভেবে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তদন্তে নেমে বাড়ির পরিচারকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। এরই মধ্যে অভিযোগকারীর ছেলের আচরণে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তাতেই রহস্যভেদ হয় টাকা গায়েব রহস্যের।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানায়, বন্ধুদের কাছে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে আলমারি থেকে টাকা নিয়ে বন্ধুদের বিলি করে দিয়েছে সে। ফ্রেইন্ডশিপ ডে উপলক্ষে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা বন্ধুদের উপহার দিয়েছে সে।
কিশোর জানিয়েছে, মোট ৫ জন বন্ধুকে টাকা দিয়েছে সে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ৫ লক্ষ টাকা সে দিয়েছে এক গরিব বন্ধুকে। শ্রমিকের কাজ করে সে। হোম ওয়ার্ক করে দেওয়ার জন্য ১ বন্ধুকে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এমনকী আলমারি থেকে টাকা নিয়ে প্রেমিকাকে সোনার আংটি কিনে দিয়েছে বলেও স্বীকার করেছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র।
কিশোরের দেওয়া তথ্য অনুসারে তার বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া শুরু করেছে পুলিস। থানায় ডেকে বন্ধুদের টাকা ফেরত দিতে বলেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি পুলিস।