সেক্সে ছড়াতে পারে টিবি-র ভাইরাস!
যৌন মিলনে শুধুমাত্র এইচআইভি বা অন্যান্য যৌনরোগের সংক্রমণই ছড়ায় না, ছড়াতে পারে টিউবার কিউলোসিসের (টিবি) মত রোগের ভাইরাসও।
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, হাত মেলালে বা টিবি রোগীর সঙ্গে এক থালায় খাবার শেয়ার করলে এই রোগ ছড়ায় না।
কিন্তু চুম্বন ও যৌন সঙ্গমের দ্বারা সহজেই ছড়াতে পারে টিবির ভাইরাস।
টিবি ভাইরাস সাধারণত দুই প্রকারের হয়। একটি ল্যাটেন্ট টিবি ভাইরাস, অন্যটি অ্যাকটিভ টিবি ভাইরাস। ল্যাটেন্ট টিবি ছোঁয়াচে নয়। তবে, অ্যাকটিভ টিবি বাতাসে সক্রিয় হয়। ফলে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত রাতে ঘুমের মধ্যে অত্যাধিক ঘাম হওয়া, ক্লান্তিবোধ করা, বুকে কফ জমে যাওয়া, অল্পদিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ওজন কমে যাওয়া টিবি-র সংক্রমণের লক্ষণ।
ফুসফুসে টিবির সংক্রণ থাকলে, চুম্বনের মাধ্যমে তা সহজেই সঙ্গীর দেহে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষ করে গভীর চুম্বনের সময় নিঃসৃত হওয়া স্পাটামের মাধ্যমেই এই রোগ ছড়াতে পারে সঙ্গীর থেকে সঙ্গিনীর অথবা সঙ্গিনীর থেকে সঙ্গীর দেহে।
চিকিত্সকদের দাবি, কোনও যুগলের মধ্যে কেউ যদি অ্যাক্টিভ টিবিতে আক্রান্ত হন, তাহলে যৌন সঙ্গমে শুক্রানু নিঃসরণের সময় আক্রান্তের দেহ থেকে সেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে অন্যজনের দেহে। তবে, তা নির্ভর করছে আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর।
কী করে বুঝবেন আপনি 'জেনিটাল টিবি'-তে আক্রান্ত? চিকিত্সকরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যোনীর আশপাশে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বিভিন্ন রকম ঘা লক্ষ্য করা যায় সেখানে। শুধু তাই নয়, এই রোগে আক্রান্ত হলে মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনী থেকে অত্যাধিক নিঃসরণও ঘটে থাকে। সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
ফুসফুসে টিবি-র সংক্রমণ হলে সাধারণ ভাবে তা সারতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ। অনেকক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহও লেগে যেতে পারে রোগের ব্যপকতার উপর। তবে, ফুসফুস ছাড়া অন্য কোথাও টিবি-র সংক্রমণ হলে তা সারতে অনেকটাই সময় লেগে যায়।
টিবি বা যক্ষ্ম নিয়ে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমাদের মধ্যে। অনেকের মতে টিবি বংশানুক্রমিক। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। অনেকে আবার মনে করেন, টিবি কোনওদিন সারে না। এমনকী টিবি জীবনকালে একবারই হয়। এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে সঠিক চিকিত্সা করানোর পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।