Diwali 2022: পা বাড়ালেই প্রদীপগ্রাম! ঘুরে আসুন লক্ষ প্রদীপময় আশ্চর্য এই গ্রাম থেকে...
প্রায় ৫৫ বছর ধরে এই এলাকা মাটির প্রদীপ, ঘট, কলসি ইত্যাদি জিনিসপত্র তৈরির জন্য বিখ্যাত। ১৬ হাজার শ্রমিক এখানে এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এঁদের সকলেই স্থানীয় নন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজনও এখানে কাজে আসেন।
কলকাতা থেকে মাত্র চল্লিশ মিনিট দূরের এই গ্রামে মানুষজনের জীবিকাই হল মাটির প্রদীপ ও মাটির বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা।
যশোর রোড ধরে এগিয়ে দত্তপুকুর পেরিয়ে চালতাবেড়িয়া এলাকায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দুপাশে নজরে পড়বে বহু ছোট ছোট দোকান।
সামনে সাজানো মাটির বহু জিনিস। প্রচুর প্রদীপ। নানা ডিজাইনের, নানা রঙের। রয়েছে মাটির মূর্তিও। মাটির বোতল, থালা, বাটি, গ্লাস থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর নানা জিনিসে ভর্তি এই সব দোকান।
দীপাবলির আগে থেকেই বাজার এখানে তুঙ্গে থাকে। তবে বিভিন্ন চায়না আলো, টুনি আলোর মধ্যে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল বাংলার ঐতিহ্য মাটির প্রদীপ। নতুন ধরনের চিনা আলোর জন্য এবং গত কয়েক বছরের করোনা বিপর্যয়ের কারণে মাটির জিনিসের চাহিদা কমছিল এখানেও।
তবে এবার আগের দুবছরের তুলনায় ব্যবসাপত্র সামান্য হলেও ভালো। চিনা আলোর পাশাপাশি মাটির প্রদীপের প্রতিও মানুষের আকর্ষণ ইদানীং নতুন করে বাড়ছে।
এখানকার মাটির প্রদীপ ও মাটির জিনিসের চাহিদা রয়েছে গোটা ভারতেই। এখান থেকে মাটির জিনিস বাইরের বিভিন্ন রাজ্য মুম্বই হায়দরাবাদ গুজরাট অসম পাটনা রাজস্থানে রফতানি করা হয়।