Planning Pregnancy: কোভিড-পর্বে প্রেগন্যান্সি ক্ষতিকর? প্রেগন্যান্সি-কালে টিকাকরণ চলবে?
মা হওয়া কি মুখের কথা? এটি এক বিখ্যাত বাংলা গানের লাইন। বাস্তবে এটিই অবশ্য় সকলের মনের কথা। অর্থাৎ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং গর্ভে এক নবজাতককে ধারণ করা রীতিমতো কঠিন এক কাজ। ন'মাস দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা সত্যিই কঠিন। এতে সংশ্লিষ্ট নারীটির নানা দৈহিক, মানসিক, হরমোনাল, আবেগগত সঙ্কট তৈরি হয়।
তবে কি অপেক্ষাই শ্রেয়? কোভিড-কালে প্রেগন্যান্ট হওয়া নিয়ে একটু ভাবনাচিন্তা জরুরি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে, মানে, কোভিড সংক্রমণ-কালে বা সংশ্লিষ্ট মহিলা কোভিডে সংক্রমিত হলে তাঁর পক্ষে সন্তানধারণ একটু পিছিয়ে দেওয়াই ভালো। কেননা, সম্পূর্ণ সেরে ওঠার ক্ষেত্রে কোনও অন্তরায় ঘটলে ওই প্রসূতি বা সন্তানের শরীরের ক্ষেত্রে তা খারাপ প্রভাব ফেলবে।
তবে কতদিন অপেক্ষা? যদি মা-হতে-চলা-নারী কোভিড সংক্রমিত হন, তবে একটু অপেক্ষা করা খুব ভালো হবে। যদিও এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন নেই, তবে, একেবারে সম্পূর্ণ সেরে না ওঠা পর্যন্ত ব্যাপারটির মধ্যে না যাওয়াই ভালো বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা।
তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহিলার নিজে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। সেই মহিলাকে চিকিৎসকদের সঙ্গে কলসাল্ট করতে হবে। এবং তাঁর পরামর্শমতোই চলতে হবে। চিকিৎসক যদি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট মহিলার শরীর এখনও ততটা উপযুক্ত হয়নি, তবে তিনি সেই মতো ওষুধপথ্যের পরামর্শ দেবেন।
তবুও যদি প্রেগন্যান্সি-কালেই কোনও ভাবে আপনি কোভিড-আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তবে আতঙ্কের কিছু নেই। তখনও চিকিৎসকদের সঙ্গে কনসাল্ট করতে হবে। এবং একেবারে অক্ষরে অক্ষরে তাঁর পরামর্শমতো চলতে হবে। নিজের বিষয়ে একটু এক্সট্রা কেয়ার এ সময়ে নিতেই হবে। অবশ্যই প্রচুর জল খেতে হবে। নিউট্রিয়েন্টস গ্রহণ করতে হবে। সব চেয়ে বড় কথা, মানসিক ভাবে এই সময়টা দারুণ ইতিবাচক থাকতে হবে।
একটা ভুল ধারণা আছে যে, করোনা টিকা নিলে শারীরিক উর্বরতা কমে যায়। এটার একেবারেই কোনও ভিত্তি নেই। এবং টিকাকরণ আসন্ন নবজাতকের উপরও কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলে না। উল্টে টিকা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কমায় বা সংক্রমণ ঘটলেও তাকে বেশি দূর বাড়তে দেয় না।