Thailand: অমানবিকতার চূড়ান্ত! ছুটি দিলেন না বস, অসুস্থ শরীরে অফিসে এসে ২০ মিনিটেই মৃত্যু তরুণীর...

Soumitra Sen Fri, 27 Sep 2024-8:06 pm,

থাইল্যান্ডের সুখোথাইয়ের ডেল্টা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির প্ল্যান্টে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। যে তরুণীটি মারা গিয়েছেন, তাঁর নাম মে। মে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিক লিভ নিয়েছিলেন। এজন্য তাঁকে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছিল। তাঁর বৃহদন্ত্র তথা লার্জ ইনটেস্টাইনে ইমফ্লেমেশন বা প্রদাহ হচ্ছিল।

মে'কে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। চারদিন পরে তিনি আরও দুদিনের সিক লিভের জন্য আবেদন করেন। ১২ সেপ্টেম্বর তিনি মেইল করেছিলেন। 

তখন তাঁকে আর একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা করার কথা বলা হয়। বিষয়টায় মে একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকেন। কাজ যদি চলে যায়? ফলে পরের দিনই তিনি কাজে যোগ দেন। কিন্তু মিনিটকুড়ি কাজের পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর তক্ষুনি অপারেশন করানোর দরকার পড়েছিল। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মারা যান তিনি।

কদিন আগেই EY পুণের ২৬ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুতে কোম্পানির সর্বভারতীয় বসকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁর মা। চিঠিতে ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, অত্যধিক কাজের চাপে কাজে যোগ দেওয়ার ৪ মাসের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর মেয়ে! 

এরও ক'দিন আগেই সামনে এসেছিল TCS-এর একটি ঘটনা। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন এক প্রাক্তন TCS কর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিনের পর দিন কর্মক্ষেত্রে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন তাঁরই এক সিনিয়র। শুধু তাঁকে নয়, অন্যান্য ফ্রেশারদের সঙ্গেও সেই সিনিয়র একই ঘটনা ঘটাতেন। 

কদিন আগে কর্পোরেট-চাপের কাছে নতিস্বীকার করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক ইঞ্জিনিয়র। চেন্নাইয়ের ঘটনা। বছর আটত্রিশের কার্তিকেয়ন গত ১৫ বছর ধরে একটি সফট ওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। সব মিলিয়ে সুখের সংসার। তবে গত দুমাস ধরে তিনি খুব অবসাগদ্রস্ত ছিলেন। মানসিক চাপ কাটানোর চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। ঘটনার দিন বাড়িতে একা ছিলেন তিনি। স্ত্রী গিয়েছিলেন মন্দিরে। তিনি ফিরে এসে দেখেন, স্বামীর পরনে শুধু অন্তর্বাস, খালি গায়ে জড়ানো বিদ্যুতের তার। তারটি বিদ্যুতের একটি জয়েন্ট বক্সে যুক্ত। স্বামী অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে! সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। পরে পুলিস আসে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে আত্মহত্যা করেন কার্তিকেয়ন।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link