ফিক্সিং-কাণ্ডে নয়া মোড়! দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শ্রীসন্থের
২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এস শ্রীসন্থ। সর্বোচ্চ আদালতে তিনি দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন।
শ্রীসন্থ দাবি করেছেন, দিল্লি পুলিস তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দিয়েছিল। তিনি বলেন, ''পুলিস আমাকে দোষ কবুল করার জন্য জোর করছিল। আমাকে ওরা বলেছিল, দোষ মেনে না নিলে বিভিন্ন কায়দায় আমার পরিবারের লোকজনদের উপর ওরা নির্যাতন করবে।''
শ্রীসন্থ যতটা সহজ-সরলভাবে কথাগুলো বলেছেন, আদালত কিন্তু ততটা সহজভাবে ব্যাপারটা মেনে নেয়নি। বিচারপতি প্রাক্তন পেসারের কাছে জানতে চান, বুকিরা তাঁকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর কেন তিনি ব্যাপারটা বিসিসিআইকে জানাননি! যদিও এই ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি শ্রীসন্থ।
শ্রীসন্থের তরফে আদালতে আইনি লড়াই লড়ছেন সলমন খুরশিদ। তিনি এদিন দাবি করেন, ২০১৩ সালে পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, তাঁর মক্কেল শ্রীসন্থের উপর কেরল হাইকোর্টের আজীবন নির্বাসনের খাঁড়া অযৌক্তিক। এক্ষেত্রে তিনি আজহারুদ্দিনের উদাহরণ টানেন। বলেন, প্রথমে আজহারকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। তা হলে শ্রীসন্থের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন!
দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রোনিয়ে ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটার ফিক্সিং-কাণ্ডে জড়িয়ে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি পাননি। এমনিতে, শ্রীসন্থের কেরিয়ার প্রায় শেষ বললেই চলে। এখন তাঁর আইনজীবীর দাবি, শ্রীসন্থকে যেন অন্তত বিদেশের লিগগুলোতে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি শ্রীসন্থকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন। যদিও একটা সময় শ্রীসন্থ নিজে মুখে দোষ স্বীকার করেছিলেন। তার পরই নির্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে।