এই কোভিড-টু`তে ঘরে বেশি করে ডিম মজুত করুন আর বানিয়ে নিন বিচিত্র এগ-ডিশ
আবার সে এসেছে ফিরিয়া। মানে, কোভিড। তার হাত ধরে লকডাউনও চলে আসবে কিনা, কেউ জানে না। কিন্তু এখনই বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সাবধানে থাকুন, বেশি বেরোবেন না, রোজ বেরোবেন না। পারলে বাজার এক সপ্তাহের তুলে রাখুন। এই রকম পরিস্থিতিতে মাছ-আনাজ-মাংস-সয়াবিন যা-ই ঘরে মজুত রাখুন না কেন, সব চেয়ে কার্যকরী ডিম। চটজলদি যা-হোকক কিছু একটা বানিয়ে নেওয়া চলে ডিম দিয়ে। অনেকদিন ধরে ঘরে রাখাও চলে। আর শুধু তাই নয়, কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতেও ডিমের জুড়ি নেই!
আর ডিম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রোটিনের জোগান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই খাবার আমাদের শরীরে পৌঁছে দেয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভালো কোলেস্টরল, প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি। ডিমপ্রেমীদের জন্য তাই এখানে রইল কয়েকটি রেসিপি।
ঘরোয়া ডেভিল-- সেদ্ধ ডিম অর্ধেক কেটে কেটে বেসন বা আটা, চালগুঁড়ো, জিরে, মরিচগুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, আদা-রসুন পেস্ট, নুন এবং জল দিয়ে তৈরি পেস্টে ডুবিয়ে রেখে দিন। ডুবানো ডিমগুলি সাদা তেলে কড়া করে ভেজে নিতে হবে।
ডিম ভুজিয়া-- আগে ডিম ফাটিয়ে রাখতে হবে। কড়ায় গরম তেলে জিরে, তেজপাতা, পেঁয়াজ, টমেটো বা ক্যাপসিকাম দেওয়া হয়। ফাটা ডিমগুলি এর উপরে ঢালা হয় এবং ভাজতে হয়। কালো মরিচ এবং ধনেপাতা, নুন এর সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে।
ডিমের মালাইকারি-- সেদ্ধ ডিমে হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে লালচে করে ভাজতে হবে। তেজপাতা ও গোটা মশলা তেলের মধ্যে দিয়ে গরম করে নিতে হবে। পেঁয়াজ কুচি, আদা, রসুন বাটা, টমেটো, কাঁচালঙ্কা, জিরে এবং ধনে গুঁড়ো এর মধ্যে দিতে হবে। এর পর এতে জল, নারকেলের দুধ এবং ডিম দিয়ে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট রান্না করতে হবে। বাড়তি স্বাদ আনতে হলে উপরে একটু গোলাপ জলও ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ডিম কারি -- আগে ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ ডিমগুলি সর্ষের তেল বা সাদা তেলে ভেজে নিতে হবে। ভাজা পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো, হলুদের পেস্টে এই সেদ্ধ ডিম দিতে হবে। স্বাদমতো নুন এবং চিনি দিতে হবে। একটু জল দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
ওমলেট কারি -- পেঁয়াজ ও লঙ্কা কুচি দিয়ে ওমলেটগুলি তৈরি করে সেগুলি টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। উপরে উল্লিখিত ডিমের কারির রেসিপি মেনে এটাও একইভাবে রাঁধতে হবে।তবে এটি আরও পাঁচ মিনিট বেশি রান্না করতে হবে যাতে ওমলেটগুলি কারির মধ্যে মিশে যায়।
ডিম কোর্মা -- ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর ডিমের গা চিরে চিরে দিতে হবে, যাতে মশলা ঢোকে। এরপর ডিমে লঙ্কাগুড়ো আর নুন মাাখিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। কড়ায় সাদা তেল আর একটু গাওয়া ঘি-তে ডিম অল্প ভেজে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতো পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে তুলে নেওয়া হল। ওই তেলেতেই ছোট এলাচ, দারচিনি ও জৈয়ত্রী ফোড়ন দেওয়া হল। এরপর ওর মধ্যে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভেজে লাল লাল করা হল। এর পর মিডিয়াম আঁচে আদা-পেঁয়াাজ-রসুন বাটা ভাজতে হবে। এতে জিরে বাটা যোগ করতে হবে। সামান্য চিনি, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ, ধনেগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষতে হবে। আলাদা একটি বাটিতে টক দই ফেটিয়ে রাখতে হবে। ওই দই এই মশলায় ঢেলে মশলাটি আবার নতুন করে কষতে হবে। যখন হালকা তেল ছাড়বে তখন এর মধ্যে অল্প পরিমাণ দুধ দিতে হবে। চাপা দিয়ে কষতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। যত বেশি নাড়া হবে তত মশলাটা স্মুদ হবে। এর পর ওর মধ্য়ে ভেজে রাখা গোটা ডিম দিতে হবে। আর একটু দুধ দিতে হবে এবং শেষে কাজু বাদাম বাটা দিয়ে হালকা আঁচে চাপা দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০ মিনিট। এরপর নাবাবার সময়ে বেরেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।