হার্ট অ্যাটাকের পর চিকিত্সকের প্রাণ বাঁচিয়ে ঋণশোধ কুকুরের
২ বছর আগে কিডনির অসুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তার ঋণ জীবন বাঁচিয়ে চোকাল কুকুর। এনআরএসে কুকুর ছানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত কলকাতা। ঠিক তখনই রাস্তার কুকুরের ঋণ শোধের খবর উঠে এল শিরোনামে।
মহারাষ্ট্রের পুণের চিকিত্সক রমেশ সনচেতিকতে বাঁচাল এক সারমেয়। ২ বছর আগে ওই সারমেয়টির প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন রমেশবাবু। তার ঋণ শোধ করল সে। (কুকুরের সঙ্গে পশুপ্রেমী অমিত শাহ)
ঘরের মধ্যে একা ছিলেন রমেশ সনচেতি। স্ত্রী ছিলেন মুম্বইয়ে। ছেলে ও মেয়ে থাকে বাইরে। তখনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় রমেশবাবুর। ঘরে কেউ না থাকায় মেঝেয় পড়েছিলেন তিনি।
বিষয়টি দেখার পর রমেশবাবুর ফ্ল্যাটের বাসিন্দাকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করে কুকুরটি। প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই কুকুরটিকে খেতে দেন রমেশবাবুর পড়শি অমিত শাহ।
এদিনও খাবার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পড়শি অমিতবাবু। কিন্তু খাবার মুখে তোলেনি কুকুরটি। উল্টে রমেশবাবুর জানলায় পা দিয়ে আঁচড় কাটতে থাকে।
কুকুরটি এভাবে খাবার না খেয়ে পা দিয়ে আঁচড় কাটায় সন্দেহ হয় অমিত শাহের। জানলার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখেন, মেঝেয় বুকে হাত দিয়ে শুয়ে রমেশবাবু। (ছবি- পশুপ্রেমী অমিত শাহ)
সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে রমেশবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়,''কুকুরটি খাবার মুখে তোলেনি। উল্টে ওর ব্যবহারে একটা অস্বস্তি দেখতে পাচ্ছিলাম''।
আপাতত আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে রমেশবাবুকে। তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। রমেশবাবুর ছেলে অমিতের কথায়, ''কুকুরটি আমার বাবার জীবন বাঁচাল''।
পশুপ্রেমী অমিত শাহ জানিয়েছেন, দুবছর আগে কুকুরটির কিডনিতে সমস্যা হয়েছিল। তখন যত্নআত্তি করে তাকে সুস্থ করে তুলেছিলেন রমেশবাবু। (ছবি-প্রতীকী)