শুধু ওজন কমানোই নয়, ক্যানসারের মতো রোগকেও দূরে রাখে Dry fruits
নিজেস্ব প্রতিবেদন: ব্রেকফাস্টের তালিকায় অনকেই রাখেন ড্রাই ফ্রুটস( Dry fruits)। কাজুবাদাম, কাজু, কিসমিস, ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় দোকানে। ড্রাই ফ্রুটস আসলে তাজা ফলকে শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয়। প্রত্যেকের ড্রাই ফ্রুট খাওয়া উচিত। বিশেজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই ডায়েট চার্টে সযত্নে রাখেন Dry fruits। ড্রাই ফ্রুটসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন তবে, এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলিও জেনে রাখা উচিত। Dry fruits কাঁচা খাওয়ার পরিবর্তে সেগুলি আগে থেকে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। Dry fruits -এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই Dry fruits খাওয়া উচিত। Dry fruits এর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
শরীরের মেটাবলিজমের রেট বাড়িয়ে খিদে বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে Dry fruits। এতে উপস্থিত ফাইবার শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকার জন্য শুকনো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, বেশি পরিমাণে ফাইবার সেবন করলে হজমশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। কাঠবাদাম ১০টা পর্যন্ত খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। আবার Omega-3 সমৃদ্ধ আখরোট দিনে একটার বেশি খাওয়া যাবে না। চিনাবাদাম একমুঠ পরিমাণ খেতে পারেন। পেস্তাবাদাম ৬টা থেকে ৭টার বেশি খাওয়া যাবে না। কাজুবাদামের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। বাদাম, বীজ, ‘ড্রাই ফ্রুটস’ যাই খান না কেন তা কাঁচা এবং বিনা লবণে খাওয়া সবচাইতে ভাল বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
নারিকেলকে ‘Dry fruits’য়ে রূপান্তরিত করলে তার স্বাস্থ্যগুণ আবার বেশ কমে, চর্বির মাত্রা বেশি। নারিকেল কুচি ভাজা, নাড়ু ইত্যাদির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এগুলো দিনে একটি বা দুই টেবিল-চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।Dry fruits এর মধ্যে খেজুর শরীরে উষ্ণতা যোগায় এবং বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তবে দিনে মাঝারি আকারের ১টি বা ২টি খেজুর খেলেই সর্বোচ্চ উপকার মিলবে।
Dry fruits এর ক্যালোরি ও চিনির ঘনত্ব বেশি, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বাড়তে পারে ওজন, পেটে গ্যাসের সমস্যা, এমনকি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর যদি নুন মেশানো বাদাম থাকে তাহলে বাড়বে রক্তচাপ, দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। Dry fruits এ বিভিন্ন রকম ফল থাকে, যাতে ক্যালরির মাত্রা বিভিন্ন রকম। Dry fruits এ ক্যালোরির মাত্রা এতই বেশি যে তা দিনে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩টি খাওয়াই আদর্শ। এর বেশি খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কাঠবাদামে থাকা ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ অল্প পরিমাণে খেলেই শুধু উপকারে আসবে। সেই পরিমাণটুকু হল দিনে ৪ থেকে ৭টি।অন্যদিকে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টি ও খনিজ উপাদান থাকে।
বাদাম, কিশমিশম, বীজ- ‘Dry fruits’ ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন প্রায় সকল পুষ্টিবিদ। পরিমাণের ক্ষেত্রে তারা বলেন প্রতিদিন একমুঠো করে Dry fruits যথেষ্ট। কাঠবাদাম আর কাজুবাদামের প্রতি আউন্সে ক্যালোরি থাকতে পারে ১৬০ পর্যন্ত। ‘চিয়া বীজ’ আর সূর্যমুখীর বীজের ক্যালরির মাত্রাও নেহাত কম নয়। ‘ম্যাকাডেমিয়া’ বাদামেও প্রচুর ক্যালরি থাকে। অপরদিকে ‘স্ন্যাকস’ হিসেবে ‘Dry fruits’ সহজলভ্য, খেতে ঝামেলা নেই এবং সুস্বাদু। তাই পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেলা খুবই সহজ। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই পরিমাণমতো খান Dry fruits।
Dry fruits এর ফলে অনেক ভিটামিন শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। Dry fruits ওজন কমাতে সাহায্য করে, তবে প্রয়োজনের বেশি খেলে ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে Dry fruits, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকায় চেহারা থাকে তারুণ্যে ভরা, এটি দাঁত, হার্ট, হাড় ও চোখের জন্য উপকারি । Dry fruits অন্ত্রের সমস্যা বা ক্যানসারের মতো রোগ থেকে দূরে রাখে। কিসমিস বা অ্যাপরিকটসে ফেনল থাকে, যা হার্ট ডিজিস, ডায়াবেটিস, ব্রেন ডিজিসের মতো রোগ থেকে দূরে রাখে। প্রাকৃতিকভাবে Dry fruits এ চিনি থাকে যা অ্যানিমিয়া রোধ করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।