Durga Puja 2021: পাঁচশো বছর পেরিয়েছে ভাগ হয়ে যাওয়া সাত মা`র দুর্গা পুজো

Soumitra Sen Sun, 19 Sep 2021-4:35 pm,

এক সঙ্গে ঘট আনা, এক সঙ্গে বিসর্জন। এই ভাবেই বংশপরম্পরায় আনুমানিক ৫০০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন খয়রাশোল থানার পাঁচরার পাথরকুচি গ্ৰামের কবিরাজবাড়ির ৭ দুর্গাপ্রতিমা।

আসলে কর্মকার। তবে গদাধর কর্মকার 'পণ্ডিত' উপাধি পেয়েছিলেন। আবার গ্রামীণ পরিচয় গদাধর কবিরাজ হিসেবে। বীরভূমের দুবরাজপুরের পাঁচরার পাথরকুচি গ্ৰামে শুরু হয় এহেন কর্মকার-কাম-কবিরাজ বাড়ির দুর্গাপুজোর। পরে পরিবারের সদস্যসংখ্যা বাড়ায় পুজোর সংখ্যাও বাড়ে। ধীরে ধীরে ১ থেকে তা ৭ পুজোর রূপ পায়। বর্তমানে এই পুজো 'সাত মা'-র পুজো নামেই পরিচিত।

পারিবারিক সদস্যরা বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে সমস্যার কারণে ভাগাভাগি হয় সম্পত্তির। সেভাবেই ভাগ হয়ে যায় পুজোও। তৈরি হয় আলাদা সাত মন্দির। আদি খুঁজলে আনুমানিক ৫০০ বছরেরও অধিক পুরনো এই পুজো। এখন সাধারণ মানুষের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছ এই পুজো। 

একটি দুর্গামন্দির থেকে পরপর সাতটি দুর্গামন্দির। সাতটি মন্দিরে দেবীর মাটির প্রতিমা। প্রতিমা তৈরি করা থেকে বিসর্জন, নবপত্রিকা স্নান, অষ্টমীর বলিদান, বিসর্জন-- সবকিছুই হয় এক সঙ্গে।

কর্মকারদের বাড়ির পুজোর একটি বৈশিষ্ট্য আছে-- অষ্টমীতে ছাগবলির এক টুকরো মাংস একটি মাটির সরা বা মাটির পাত্রে পান ও সুপারি দিয়ে রেখে দেওয়া হয়। নবমীর গভীর রাতে (রাত দেড়টা-দুটো) একটি ভেলায় মাংসের টুকরোটি রেখে প্রদীপ ও খই দিয়ে শ্মশানসংলগ্ন নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।

বাড়ির সকল সদস্য ও আত্মীয়রা দূরদূরান্ত থেকে চলে আসেন এই সাত-মা-এর পুজোয়। পুজো চারদিন চলে জমাটি আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবার করোনার প্রভাব একটু কম থাকায় আশা, এবারে হয়তো পরিবারের সকল সদস্যই পুজোয় আসতে পারবেন।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link