Ganesh Chaturthi 2022: গণেশপুজোর সঙ্গে ছত্রপতি শিবাজী, লোকমান্য তিলকের কী যোগ রয়েছে জানেন?
সাধারণ মানুষের মধ্যে গণেশ চতুর্থীর উদযাপন প্রথম শুরু হয় ছত্রপতি শিবাজির হাতে। তবে বলা হয় বহুসাহেব লক্ষণ জাভালের হাতেই গণেশপুজো প্রথম সর্বজনীন রূপ পায়।
তবে আজকে মহারাষ্ট্রে মানুষ যেরকম ভাবে গণেশ চতুর্থীর উদযাপন দেখছেন সেটা শুরু হয়েছিল লোকমান্য তিলকের হাতেই। গণেশকে ঘিরে আজকের এই 'গ্র্যান্ড পাবলিক ইভেন্ট' সেখানকার ব্রাহ্মণ ও অ-ব্রাহ্মণের গোঁড়ামিপ্রসূত ভেদাভেদকে অনেকটাই মুছে দিতে পেরেছে বলে মত সেখানকার সমাজতাত্ত্বিকদের।
গণেশপুজোয় চারটি মূল অংশ আছে-- প্রাণপ্রতিষ্ঠা, ষোড়শোপচার, উত্তরপূজা, বিসর্জন।
চারটি ধাপ হল: ১ প্রাণপ্রতিষ্ঠা-- মৃন্ময় মূর্তিতে দেবতাকে আরোপ করা ২ ষোড়শোপচার-- ১৬ রকম ভাবে গণেশের পূজা ও আরাধনা
৩ উত্তরপূজা-- এটা মূল পুজোর পরের রীতি
৪ বিসর্জন-- নদীতে গণেশমূর্তি বিসর্জন
গণেশের জন্ম নিয়েও নানা কাহিনি, নানা মিথ। বলা হয় দেবতাদের অনুরোধে শিব-পার্বতী গণেশকে সৃষ্টি করেন। বিঘ্নকর্তা নামক এক রাক্ষস বা অপদেবতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেবতারা শিবের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। তখন শিব গণেশকে বিঘ্নবিনাশক হিসেবে সৃষ্টি করেন।
দ্বিতীয় যে কাহিনি আছে, সেটি খুবই প্রচলিত। দেবী পার্বতী তাঁর শরীরের ময়লা থেকে গণেশকে তৈরি করলেন। তারপর নব্যসৃষ্ট গণেশকে দ্বার রক্ষার ভার দিয়ে তিনি স্নান করতে গেলেন, গণেশকে বলে গেলেন কেউ যেন এসময় এখানে না প্রবেশ করেন। শিব তখন ছিলেন না। তিনি এসবের কিছুই জানতেন না। তিনি ঠিক সেই সময়েই বাড়ি ফিরছিলেন। এদিকে শিবকে তো আর গণেশ চেনেন না। ফলে মায়ের নির্দেশ মেনে তিনি শিবকে ঢুকতে দিলেন না। ক্রুদ্ধ শিব গণেশের মাথা কেটে দিলেন। এসব দেখে পার্বতী ভয়ানক রেগে গেলেন। শিব সবটা জেনে অনুতপ্ত হলেন এবং তিনি পার্বতীকে কথা দিলেন, তিনি গণেশকে জীবন্ত করে তুলবেন। দেবতারা উত্তর দিকে মাথা করে থাকা যে কোনও জীবের সন্ধানে বেরোলেন। তাঁরা একটি হাতি পেলেন। তার মাথাই নিয়ে এলেন। শিব গণেশের শরীরে সেই মাথা বসিয়ে গণেশকে জীবন্ত করলেন।