কেওড়াতলায় গান স্যালুটে শেষ বিদায় সাহেবকে, বাঁধ মানল না চোখের জল
নিজস্ব প্রতিবেদন : গান স্যালুটে শেষ বিদায় সাহেবকে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল প্রিয় অভিনেতার শেষকৃত্য।
মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ তাপস পাল। রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় দেহ। সেখান থেকে গল্ফগ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
রাতভর বাড়িতে শায়িত থাকার পর এদিন সকালে প্রথমে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তাপস পালের মরদেহ। তারপর সেখান থেকে সবার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হয় দেহ।
রবীন্দ্র সদনে প্রিয় তাপসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের এজেন্সির অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল তাপস। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাতেই মৃত্যু তাপসের। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।
কলকাতায় দেহ পৌঁছনোর পর থেকে তাপস পালের শেষযাত্রার সম্পূর্ণ তদারকিতে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন প্রয়াত অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সোহম চক্রবর্তীকে।
প্রিয় অভিনেতাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রিয় অভিনেতাকে শেষবারের মতো একবার চোখের দেখা দেখার জন্য, রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ভেঙে পড়ে লোক।
উত্তম পরবর্তী যুগে তাঁর হাসিতে মুগ্ধ ছিল আপামর বাঙালি। অভিনয় জীবন থেকে রাজনৈতিক কেরিয়ার সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন তাপস পাল। পাশাপাশি, তাঁকে তাড়া করেছে বিতর্কও। শেষ জীবনে সবার থেকে গুটিয়ে নেন। নিঃসঙ্গতাকেই বেছে নেন তিনি।