চিচিং ফাঁক কিমের দেশ (পর্ব-১): যেখানে ছবি তোলা মানা
কিমের দেশ যেন হীরক রাজার দেশ। ওখানে রাজার অঙ্গুলিহেলনে গাছের পাতা নড়ে। বাতাস বয়। সেই রাজার পাদতলে ঝাড়ু! নৈব নৈব চ...
কিমের দেশে সেনারা বিশ্রাম নিচ্ছে তা বিশ্বের কাছে দেখানো বারণ। ভুল বার্তা যাবে যে। হয়ত ট্রাম্পের কাছে ছোটো হয়ে যাবেন! কিন্তু সেনা বলে কি মানুষ নয়...
উত্তর কোরিয়ার আনাচে কানাচে কিমের মূর্তি। সবাই দেখো...ভাল ছবি তোলো... কিন্তু কিমের পিছনের ছবি তুলো না খবরদার... তাহলেই বিপদ!
কিমের কড়া নির্দেশ পালনে সর্বদা ব্যস্ত সে দেশের সেনা। মাঝে মধ্যে বিশ্রাম নিতেই পারেন। কিন্তু এমন ছবি তোলা যাবে না। যদি বিশ্বের কাছে প্রকাশ হয়ে যায় যে কিমেরা সেনারা ফাঁকিবাজ!
এই ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই ভাবছেন, কিম তাঁর বিশাল সেনাবাহিনীকে বহাল তবিয়তে রাখেন। ছবির পিছনে রয়েছে অন্য গল্প! তাই সেনাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ছবি এখানে তোলা বারণ। তোলো তো ডলফিনের ছবি তোলো...
সেনাবাহিনীর কোনও কর্মসূচির ছবি তোলা গুরুতর অপরাধ উত্তর কোরিয়ায়। বিশ্বের কাছে তাদের ক্রিয়াকলাপ সব সময়ই রহস্যের মধ্যে থাকে। এবার তা ফাঁস হল...
সেনা বাহিনীতে কাজ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন কাজও সেনাদের করতে হয় এবং সেটা অনেক সময় অপমানজনক হলেও তাঁরা অসহায়। এ ছবিও তোলা বারণ...
দেশের জন্য লড়েন। বিনিময়ে দেশ তাঁদের কী দেয়, এই সেনার চোখে মুখে তা স্পষ্ট। বেশির ভাগ সেনাই অপুষ্টিতে ভোগেন। এই ছবি তুললেই শুলে চড়তে হবে চিত্রগ্রাহককে।
চিত্রগ্রাহক এরিক ল্যাফোরগের সত্যিই বুকের পাটা রয়েছে, বলছে গোটা দুনিয়া। তা না হলে জীবন হাতে নিয়ে সিংহের গুহা থেকে এমন কিছু অসম্ভব ছবি তুলে আনার ক্ষমতা ক'জন রাখেন! তাঁর কথায়, ২০০৮ সাল থেকে ছয় বার উত্তর কোরিয়া গিয়েছেন। লুকিয়ে ছবি তুলেছেন। এরিক জানেন, তিনি যা করছেন ধরা পড়লেই মৃত্যু। তবু চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই কাজটিই হাসি মুখে করে ফেলে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন এরিক!