Sikkim Disaster | GLOF: লোনক হ্রদে বিপদ, ইসরো সতর্ক করে আগেই! ঘটতে পারে আরও এক গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিকিমে বিপর্যয়ের ঘণ্টা যত কাটছে, ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-এ। মৃতদের মধ্যে ৭ জওয়ান রয়েছেন। ইতিমধ্য়ে তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২টি দেহ। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। চলছে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি।
তিস্তার হড়পা বানে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের লাচেন ও লাচুংয়ে এখনও আটকে রয়েছেন ৩০০০-এরও বেশি মানুষ। আটকে রয়েছেন প্রায় ৩১৫০ জন বাইকআরোহী, যারা বাইকে চড়ে সিকিমে গিয়েছিলেন। তাদের সবাইকে সেনা ও বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হচ্ছে।
হড়পা বানে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সিকিমের ১১টি ব্রিজ। যারমধ্যে ৮টি মানগান জেলায়, ২টি নামচিতে আর একটি গ্যাংটকে। বন্যায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে জলের লাইন, নিকাশী ব্যবস্থা ও ৪ জেলার কমপক্ষে ২৭৭টি বাড়ি।
বিপর্যয়স্থলে মোতায়েন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকায় লোনক হ্রদে আউটবার্স্ট বা GLOF (গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড) ঘটে।
যার জেরেই হড়পা বান নামে তিস্তার ডাউনস্টিমে। সিকিম কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশঙ্কা করছে, আরও একটি গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ঘটতে পারে!
প্রসঙ্গত, সিকিমের লোনাক হ্রদে যে বিপর্যয় ঘটতে পারে, সেই বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল ইসরো! ২০১২-২০১৩ সালে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ইসরোর একটি সমীক্ষায় লোনক হ্রদ সংক্রান্ত ঝুঁকি তুলে ধরা হয়েছিল।
হ্রদ ফেটে বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বলেও ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল। কারণ হিমবাহ গলছিল! এরপর ২০২১ সালেও উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। বিপর্যয় সেই ঘটেই গেল।