kalipuja 2023: নিজের হাত নিজেই খসিয়ে এখানে কালী রাতারাতি হয়ে গেলেন `জগন্নাথ`! কেন?
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বানপুর সীমান্তের চ্যাটার্জী পরিবারে মহাধুমধাম করে পুজো হয় এই মা কালীর। এই পুজো নিয়ে রয়েছে অনেক কথা। ১৯৬৬ সালে চট্টোপাধ্যায় পরিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসে। এই কালীমূর্তির প্রতিষ্ঠাতা বীরেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। দেবীর স্বপ্ন পেয়ে কালীমূর্তি গড়েন তিনি।
বীরেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হোমিওপ্যাথ। বাংলাদেশে থাকাকালীন তাঁর বাড়িতে নিত্য পূজা হত। ভারতে আসার সময় সমস্ত দেবদেবীর মূর্তি সঙ্গে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। শালগ্রাম শিলা, শিবলিঙ্গ, রাধাকৃষ্ণ ও গোপালের মূর্তি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তিনি। নিত্য সেবাও শুরু করেন। এরই মধ্যে মা একদিন বীরেন্দ্রকুমারকে স্বপ্নাদেশ দেন। মা বলেন, কী রে, আমার সেবা করবি না?
তখন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়লেও স্বপ্নের মধ্যেই তিনি মাকে বলেন, কালীরূপে মাকে আরাধনা করবেন তিনি। তারপর থেকেই তাঁর পরিবার মায়ের আরাধনা করে আসছেন বহু বছর ধরে। এখন বীরেন্দ্রকুমারের প্রপৌত্র মায়ের আরাধনা করছেন।
এবং এখনও একই মন্দিরে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম, কালী, শিব, রাধাকৃষ্ণ ও গোপালের পুজো হয়।
এখানে জগন্নাথদেবের পুজো নিয়ে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। অতীতে মন্দিরটি ছিল ছোট। একবার তৎকালীন জগন্নাথমন্দিরে পুরোহিতেরা জগন্নাথদেবকে ওই মন্দিরে কিছু সময়ের জন্য রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে জগন্নাথদেবকে ওই মন্দিরে রাখতে রাজি হন না বীরেন্দ্রকুমারেরা।
পরের দিন সকালে দেখা যায়, মা কালীর চারটি হাতই খসে মাটিতে পড়ে রয়েছে! বীরেন্দ্রকুমার বুঝতে পারেন, তার ওই সিদ্ধান্তে মা কালী তাঁর প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। তিনি পুনরায় মায়ের মূর্তি গড়েন এবং পার্শ্ববর্তী জগন্নাথ মন্দির থেকে জগন্নাথদেবকে তাঁর মন্দিরে নিয়ে আসেন।
তারপর থেকে সমস্ত দেবদেবীর একই সঙ্গে নিত্যসেবা ও পুজো চলে এখানে। অন্যান্য কালীপুজোয় যেমন বলিপ্রথা আছে, আমিষভোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, চট্টোপাধ্যায় পরিবারে কিন্তু সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। এ পুজোর সমস্ত ভোগ নিরামিষ।