সাতসকালে ফোন মমতার, কেষ্টকে কী নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী?
কমলিকা সেনগুপ্ত: নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফোনও জমা দিয়েছেন। কিন্তু সকালেই ফোন পেয়েছেন দলনেত্রীর।
ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টকে নির্দেশ দিয়েছেন, মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ কর।
এদিন সকালে বাইকবাহিনী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান অনুব্রত মণ্ডল। দাবি করেন, নকুলদানা কাজে দিচ্ছে। ভোট দিয়েই অনুব্রত সোজা চলে যান দলের অফিসে। সটান বলে দেন, ওসব কমিশনের নির্দেশ মানি না।
শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে কর্মীদের নির্দেশ দিতেও দেখা গিয়েছে বীরভূমের কেষ্টকে। ফোনে অনুব্রত বলছেন, কী খবর? অ্যাই তাড়াতাড়ি হাত চালা। কাজ করো।
পর্যবেক্ষক যাওয়ার খবর পেলেই ফোনে নির্দেশ দিয়েছেন, কাজ বন্ধ রাখ। ফোন তো কেড়ে নিয়েছে কমিশন? অনুব্রতর জবাব, অন্য কারও ফোন ব্যবহার করতে পারব না, এমনটা তো বলা নেই।
দুবরাজপুর ঘটনা নিয়ে রতন মুখোপাধ্যায়কে ফোনে বলেন, ওদের ছেলেদের বাহিনী ঠিক রাখতে বল। আমার কাছেও গুলি আছে অনেক।
রবিবার অনুব্রত মণ্ডলকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নজরবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইমেলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। লিখিতভাবে কেন নির্দেশিকা পাঠানো হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আবেদন করেছিলেন, স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিত্সা চলছে। অথচ ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর মৌলিক অধিকার হরণ করেছে কমিশন। অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, নির্দেশিকার শেষ অংশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে কমিশন। নিশ্চিতভাবে সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে বলেই নির্দেশিকা। তিন সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন আচমকা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন অনুপম হাজরা। শুধু দেখাই করা নয়, জমিয়ে মাছ-ভাতও খেলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী। অনুব্রতর কথায়,''বোকামি করেছে। ওকেই প্রার্থী করতাম''। আবার দলে নিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়ে দিলেন কেষ্ট''।