আরব আমিরশাহির কাছ থেকে শিখুন দিদি, বোলপুরের সভায় বললেন মোদী
গতবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসেছিলাম। আজ নতুন ভারতের উত্থানে আপনাদের সকলের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। প্রথম তিন দফার ভোটগ্রহণের পর যে রিপোর্ট আসছে, তাতে স্পষ্ট, দিদির সূর্য পশ্চিমবঙ্গে অস্ত যেতে চলেছে। সিন্ডিকেটের শাসন কাঁপছে। বাংলার ভালবাসা ও আশীর্বাদ আমার জীবনের শক্তি হয়ে গিয়েছে। আপনাদের ধন্যবাদ। দিদি বুঝতে পেরে গিয়েছেন, যত সমস্যা তৈরি করবেন তত বেশি পদ্ম ফুটবে। সিংহাসন টলমল হচ্ছে দিদির। ওনার গুন্ডারা আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তখন দিদি এবং ওনার গুন্ডারা আতঙ্কে রয়েছে। কালও সেটাই দেখা গিয়েছে। গণতন্ত্রপ্রেমী নাগরিকদের বলব, বাংলার মানুষ আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনারা বিজেপির সৈন্য। যে দলটির বীজ বুনেছিলেন বাংলার বীর সন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ভারতের একত্রীকরণের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছিলেন।
গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দিদির কাছে গুন্ডাতন্ত্র থাকলে আমাদের রয়েছে গণতন্ত্র। দেশ-বিদেশে সাধারণ লোকেরা ঘর থেকে বেরিয়ে প্রচার করছেন। পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই হচ্ছে। বন্ধুরা এমন অপার সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
আপনাদের ভরসা দিতে চাই, টিএমসি-র গুন্ডাগিরি থেকে বাংলাকে মুক্ত করব । ২৩ মে নির্বাচনের ফলঘোষণা হবে। তখন 'ফির একবার মোদী সরকার'।
আমাদের বাংলায় রাম নবমী করলে সমস্যা। সরস্বতী পুজো করলে সমস্যা। দুর্গাপুজো করলে সমস্যা। আজ আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে। আরব আমিরশাহির কাছ থেকে শিখে নিন। এটাই ভারতের বর্ধিত শক্তির পরিণাম।
তোলাবাজি ছাড়া কোনও কাজ পশ্চিমবঙ্গে সম্ভব হয় না। অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকানো হয়। বোমা তৈরির স্বাধীনতা দেওয়া হয় তাদের।
মমতা আমার বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার বিদেশ সফরে লাভ হয়েছে দেশেের। গোটা দুনিয়া এখন আমাদের পাশে। বিগত সরকারের আমলে চড়া দামে তেল-গ্যাস কিনতে হত দেশকে। ২০ বছরে চুক্তি হত। ওই একই দাম থাকত। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই দাম অর্ধেক কমিয়েছি। রমজান মাসে আরবে বন্দি ভারতীয়দের ফিরিয়েছি। হজযাত্রীদের সংখ্যা আরও ২ লক্ষ বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। সাড়া দিয়েছে সৌদি আরব।
এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন দিদি। যে সরকারের অংশীদার ছিলেন, সেই কংগ্রেস কিছুই করেনি। কিন্তু চৌকিদার জবাব দিয়েছে।
৪০ আসন লড়াই করছে তারাও বলছে প্রধানমন্ত্রী হবেন। ২০ আসনে লড়াই করছেন তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখছেন। ঘুঙরু বেঁধে তৈরি হয়ে গিয়েছেন। কে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে? জবাব এল, 'মোদী, মোদী'।
আয়ুষ্মান ভারত আটকে দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে লোক এনে মোদীকে হঠাতে চান। পিএম কিষান সম্মান যোজনায় প্রতিটি কৃষকের খাতায় পয়সা জমা করাতে চায় মোদী সরকার। কিন্তু সেই তালিকা দিতে চায়নি রাজ্য। স্পিডব্রেকার দিদিকে সরাতে দরকার চৌকিদার। নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন। এবার দিদি নির্বাচন কমিশনকে গালি দিচ্ছেন। পদ্ম প্রতীকে বোতাম টিপুন। সোজা মোদীর খাতায় চলে যাবে।