এক্সক্লুসিভ: চাপ বাড়াতে কমিশনকে মমতার লেখা বই উপহার দিচ্ছেন মুকুল
অঞ্জন রায়: বাংলার প্রতিটি বুথকে স্পর্শকাতর। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই আবেদন করে এসেছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। তার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বাংলাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা বাংলার অপমান। এর জবাব দেবে মানুষ। শুক্রবার রানি রাসমণি রোডে ধরনায় বসে গিয়েছে তৃণমূলের মহিলা সেল।
বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কী হয়েছে, সেটা বাচ্চা ছেলেও জানে। সিপিএমের জমানায় তো রাজ্যে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতেন মমতা, এখন তাহলে আপত্তি কেন?
মমতাকে প্যাঁচে ফেলতে পাল্টা চাল দিচ্ছেন তাঁরই একসময়কার সহকর্মী মুকুল রায়। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে একখানি বই লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দে'জ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত মমতার লেখা বইটির নাম 'SLAUGHTER OF DEMOCRACY'। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন ওই বইটি লিখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বইয়ের ছত্রে ছত্রে সিপিএমের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবিও তোলা হয়েছে। এই বইটি এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে উপহার দিতে চলেছেন মুকুল রায়।
শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনকে লেখা তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিপত্রও সংগ্রহ করেছেন মুকুল রায়। ওই চিঠিপত্রে মমতা দাবি করেছেন, হোমগার্ড রাখা চলবে না। প্রতিটি বুথে মোতায়েন রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিসকে দায়িত্ব দেওয়া চলবে না। বিজেপির বক্তব্য, এই দাবিগুলিই তো এখন তারা তুলেছে। তা তিনি কি বাংলাকে অপমান করেননি তখন?
মমতার চিঠিপত্রও কমিশনের হাতে তুলে দেবেন মুকুল রায়। এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতা। প্রথমত, মমতার পুরনো চিঠিপত্র প্রকাশ করে তৃণমূল যে বাংলাকে অপমানের অভিযোগ তুলেছে, তা খণ্ডন করা। আর দ্বিতীয়ত, বাংলার ভোটের ইতিহাস কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। এতে চাপে পড়বে তৃণমূল।