অবনীকে মারতে কেন শাফাত আলির মতো খুনিকে নিয়োগ? প্রশ্ন মানেকার

Sun, 04 Nov 2018-8:48 pm,

মহারাষ্ট্রে অবনী হত্যা নিয়ে গোটা দেশে সমালোচনার ঝড়। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের শিকারি নবাব শাফাত আলি খানকে ভাড়া করেছিল মহারাষ্ট্রের বন দফতর। আর এনিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। 

বন দফতর, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও নির্দেশ দিয়েছিল, অবনীকে ধরাই অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য। সেষ বিকল্প হিসেবে হত্যার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। 

ভিডিও লক্ষ্য করা গিয়েছে, সন্ধের পর অন্ধকারে মারা হয়েছে অবনীকে। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নিয়মে, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যে বাঘকে হত্যা করা যায় না। 

অবনীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আদালতে আবেদন করেছেন জেরিল বেনেট। তাঁর কথায়,''অবনীকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে''।

অবনী হত্যার বিরোধিতা করে মানেকা গান্ধী অভিযোগ করেছেন, ৩টি বাঘ, ১০টি চিতাবাঘ, কয়েকটি হাতি ও ৩০০টি বন্য শূয়রকে করেছেন শাফাত আলি খান। দেশদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ থেকে হায়দরাবাদে খুনের ঘটনাতেও জড়িত এই দাগী অপরাধী। 

ঘটনাস্থলে শাফাতের ছেলেকেও দেখা গিয়েছে। যদিও বনদফতরের অনুমতি ছিল না। এমনকি তাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে বন দফতর। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ''বেআইনিভাবে নিজের ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রিগার হ্যাপি শাফাত। অমানবিক কাজে কেন এই ধরনের লোককে নিয়োগ করা হল? বিষয়টি আইনি, রাজনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যাব আমি''।   

সমালোচনার মুখে National Tiger Conservation Authority জানিয়েছে, বন দফতরের প্রধানের অনুমতিতেই নিয়োগ করা হয়েছিল শাফাতকে। তবে বাঘিনির ময়না তদন্ত করছে তারা। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।    

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link