Post Office: পোস্ট অফিস থেকেই বিপুল আয়ের সুযোগ! জেনে নিন কীভাবে
পোস্ট অফিসের অধীনে বাড়ছে বিভিন্ন পরিষেবা। শুধু চিঠি, মানি অর্ডার, স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়াও পোস্ট অফিসের স্মল সেভিংসও বেশ জনপ্রিয়। আকর্ষণীয় সুদের হারে পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয় করছেন বহু গ্রাহক। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বিভিন্ন স্টেশনারি দ্রব্যও পাঠানো যায় ডাক ব্যবস্থায়। আর বিশাল এই নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে আরও প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছে সরকার।
দুই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি (Post Office Franchises ) দিয়ে থাকে পোস্ট অফিস। পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট নিতে পারেন। যাবতীয় পরিষেবা ইন্ডিয়া পোস্টের মাধ্যমেই হবে। তবে যেখানে পোস্ট অফিসের সেন্টার নেই, সেখানেই এই আউটলেট নেওয়া যায়।
Post office-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট খুলতে এজেন্সির থেকে কম টাকা লাগে। যদিও পোস্টাল এজেন্ট হতে গেলে বেশি টাকা দিতে হয়। এখানে স্টেশনারি ছাড়া কিছু জিনিস কেনার থাকে। তাই এজেন্টদের বেশি টাকা দিতে হয়।
ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে গেলে বয়স অবশ্যই ১৮ এর ঊর্ধ্বে হতে হবে। ভারতের নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি অন্ততপক্ষে অষ্টম পাশ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পোস্ট অফিস খুলতে চাইলে ন্যূনতম ২০০ স্কোয়ারফিট জায়গা দেখাতে হবে। সবকিছু ঠিকঠিক মিটলে ইন্ডিয়া পোস্টের সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করতে হবে। পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে ৫ হাজার টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ জমা করতে হবে।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলে স্পিড পোস্ট থেকে ৫ টাকা, মানি অর্ডার থেকে ৩-৫ টাকা পেতে পারেন বিনিয়োগকারী। বাকি পোস্টাল স্ট্যাম্প ও স্টেশনারি থেকে ৫ শতাংশ কমিশন পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও বহু পরিষেবার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কমিশন। প্রতি মাসে ১ হাজারটি রেজিস্ট্রি ও স্পিড পোস্টের জন্য ২০ শতাংশ অতিরিক্ত কমিশন আদায় করা যেতে পারে। পোস্টাল ডিপার্টমেন্টের রিটেল পরিষেবা থেকে আয়ের ৪০ শতাংশও পেতে পারবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রেতা।