ঘোষিত হল পদ্মসম্মান, দেখে নিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে কারা পুরস্কৃত হলেন...
ধনীরাম টোটোর প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ নেই। স্রেফ ভালোবাসা থেকে কাজটি করেছেন তিনি। পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে উপভাষা নিয়ে কাজ করেছেন। জলপাইগুড়ির টোটোপাড়ার 'টোটো' ভাষাকে রক্ষা করেছেন তিনি।
বিলুপ্তপ্রায় ভাষা হিসেবে 'টোটো'কে চিহ্নিত করেছে ইউনেস্কো। এই ভাষালিপির জনক ধনীরাম। এই ভাষায় ৩৭ টি অক্ষর আছে। 'টোটো' ভাষায় দুটি উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। 'টোটো' ভাষায় প্রথম উপন্যাস তিনিই লেখেন।
জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মঙ্গলকান্তি রায়। বয়স ১০২। সারিন্দা বাজান তিনি। এর মাধ্যমে জাদু ছড়িয়ে আসছেন। বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমের পাখিদের সুর তুলে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
সারিন্দার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে সারিন্দার জাদুতে মুগ্ধ করতে বহুদিন ধরে সারিন্দা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। দশকের পর দশক ধরে ওয়ার্কশপ করে আসছেন। পদ্মশ্রী পাচ্ছেন শুনে বলেন-- অসুখ-বিসুখ ছাড়া দিন পার হতে পারলেই আমি খুশি!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রীতিকণা গোস্বামী ঐতিহ্যবাহী কাঁথাস্টিচকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। গ্রামের মহিলাদের ক্ষমতায়নেও যুক্ত। মহিলাদের কাঁথাস্টিচে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্র চালান।
কাঁথাস্টিচ বাংলার হস্তশিল্পের অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। খুবই শ্রমের কাজ, সূক্ষ্ম ও সহজাত শিল্পবোধও জরুরি এতে। বাংলার একান্ত নিজস্ব শিল্পে প্রীতিকণার কৃতিত্বেরই স্বীকৃতি প্রত্যাশিতই।