Partha Chatterjee, Naktala Udayan Sangha: গ্রেফতার প্রাণপুরুষ পার্থ, নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর ভবিষ্যৎ কী?
অয়ন ঘোষাল: প্রাণপুরুষ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার। তিনি-ই চেয়ারম্যান। তিনি-ই মূল পৃষ্ঠপোষক। এবার ইউনেস্কো হেরিটেজ পুজোর গুরুত্বপূর্ণ বছরেই তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অন্যতম প্রধান কর্মাধ্যক্ষ ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তও এই পুজো থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর ভবিষ্যৎ কী? এখন মুখে মুখে ঘুরছে সেই প্রশ্ন।
"হ্যাঁ, এটাই বড় সত্যি... নাকতলা উদয়নই বাংলার পুজোর মুখ।" ২০১৫ সালে পুজোর ব্যানারে লেখা হয়েছিল এমনটাই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম নামী পুজোয় এবারও বড় আকারের প্যান্ডেল! কিন্তু পুজো কি আদৌ আগের মতই জাঁকজমক করে হবে?
মুখে অবশ্য বর্তমান উদ্যোক্তারা বলছেন, "পুজো মানুষের ভালোবাসায় হয়। কোনও নামের জন্য আটকে থাকে না।" প্রসঙ্গত, পার্থর পুজো নামে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর মুখ ছিলেন 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা। বিগত কয়েক বছর ধরেই একের পর এক পুজোর বিজ্ঞাপনের অনেকাংশ জুড়েই শুধু অর্পিতা।
পুজোর ব্যানারে তিনি-ই লিড একাধিকবার। ভিভিআইপি বা তারকাদের পুজো উদ্বোধনে মঞ্চ আলো করে পার্থ চ্যাটার্জির পাশেই তিনি! যারফলে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হতেই যাবতীয় ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তীব্র খিল্লির বন্যা। এই পরিস্থিতিতে নাকতলা উদয়নের পুজোর ইমেজ কি বজায় রাখা যাবে?
যে পুজোর ব্যানারে ছেয়ে যেত গোটা শহর, যে পুজোর ভিড়ের চাপে ২০১৮ সালের নবমীর রাতে নেতাজি সুভাষ রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল পুলিস, বিতর্ক কাটিয়ে সেই পুজোকে আবার কি উৎকর্ষের পুজো হিসেবে তুলে আনা যাবে পাদপ্রদীপের আলোয়?
বর্তমান উদ্যোক্তাদের কথায়, "কঠিন কাজ। তবে অসম্ভব নয়।" মরিয়া চেষ্টায় নাকতলা উদয়ন সংঘ। প্রসঙ্গত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে অপরাজিতা আঢ্য, নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর ব্য়ানারে মুখ হয়েছেন সবাই।