আরও স্বস্তি মধ্যবিত্তের, ফের অনেকটা কমতে পারে পেট্রল-ডিজেলের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েক মাসে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী ছিল পেট্রল (Petrol)-ডিজেল (Diesel)। আকাশছোঁয়া জ্বালানীর দামে নাভিশ্বাস উঠেছিল মধ্যবিত্তের। দেশের সাধারণ মানুষকে দীপাবলির উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রতি লিটার পেট্রলে ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা শুল্ক কমায় কেন্দ্র। ফলে এক ধাক্কায় দেশে পেট্রল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel) দাম অনেকটা কমে যায়। আগামিদিনে নাকি আরও কমবে জ্বালানীর দাম। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যে প্রথমে জ্বালানীর উপর থেকে কর কমিয়েছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো। চাপে পড়ে এরপর কয়েকটি বিরোধীশাসিত রাজ্যও কর কমিয়েছে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পেট্রল (Petrol) ও ডিজেলের (Diesel) উপর থেকে কর কমায়নি। গত ২ নভেম্বর থেকে এ রাজ্যে অপরিবর্তিত পেট্রল-ডিজেলের দাম। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১০৪.৬৭ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৯.৭৯ টাকা। তবে এই দাম আরও কমতে পারে।
বর্তমানে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার। অক্টোবরের শুরুতে যা ছিল ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নিচে। তবে অক্টোবরের শেষে তা বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৬ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেই, স্বাভাবিক নিয়মে কমবে পেট্রল-ডিজেলের দাম। সম্ভবত সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়াতে চলেছে OPEC ভুক্ত দেশগুলো। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে। এই ফলে কমতে পারে অপরিশোধিত তেলের দাম।
উৎপাদন বাড়লেই, চাহিদা কমবে। ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারে নেমে আসতে পারে অপরিশোধিত তেলের দাম। ফলে একলাফে অনেকটা কমে যেতে পারে পেট্রল (Petrol) ও ডিজেলের (Diesel) দাম। সেক্ষেত্রে আরও ২ থেকে ৩ টাকা কমতে পারে পেট্রল-ডিজেলের দাম। তবে সেক্ষেত্রে আরও বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরও কাজ করছে। মূলত চারটি বিষয়ের উপর ভর করে তেলের দাম নির্ধারিত হয়। ১) অপরিশোধিত তেলের দাম, ২) মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য, ৩) কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর সংগৃহিত শুল্ক, ৪) দেশের তেলের চাহিদা। এই ফ্যাক্টরগুলো কম বা বেশি হলেই, তেলের দামও বদলাতে থাকে।