সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত পেট্রলপাম্প খোলা রাখতে নির্দেশ মন্ত্রীর
অঞ্জন রায় : সোমবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হচ্ছে লকডাউন পিরিয়ড। চলবে ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত। ভারতে করোনার তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ রুখতে এখন একটাই লক্ষ্য, 'Break the chain.' আর সেই কারণেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
তবে এই লকডাউনের আওতা বাইরে রাখা হচ্ছে জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যকে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাঁচা বাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। খোলা থাকবে পেট্রোল পাম্পও। কিন্তু তারপরেও এদিন কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করার জন্য উপছে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে।
সবার একটাই কথা, 'যদি না পাওয়া যায়। ট্রেন বন্ধ, সবজি আসবে কোথা থেকে!' সকালে বাজার খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় বাজার। অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস কিনছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা। আবার ক্রেতারা পাল্টা দাম বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে যাতে কোনওভাবেই খাদ্য-খাবার ও কেরোসিনের সংকট না হয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাদ্যভবনে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক বসেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই বৈঠকেই পেট্রল পাম্পগুলি খোলা থাকার সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম কোম্পানির কর্তারা জানান, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পেট্রল পাম্পগুলি। কিন্তু মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত পেট্রোল পাম্পগুলি খোলা রাখার কথা বলেন।
পাশাপাশি, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রান্নার গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাাবিক থাকবে। সবাইকে অনলাইনে গ্যাস বুক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে গ্যাসওয়ালা বাড়ির ভিতর ঢুকবেন কি ঢুকবেন না, তা বাড়ির মালিককেই ঠিক করতে হবে। সপ্তাহের ৭ দিনই রেশন দোকানগুলি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।