Sheikh Hasina: মন্ত্রীদের মতোই যাবতীয় সুবিধা পাচ্ছেন শেখ হাসিনা, নয়া ঠিকানা দিল্লির লোধি গার্ডেন!

Fri, 25 Oct 2024-1:05 am,

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তিনি ভারতে েসে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তার অবস্থান নিয়ে শুরু হয় জল্পনা–কল্পনা । বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির লোধি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে রয়েছেন। ভারত সরকারই তাঁর থাকার জন্য বাড়িটির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে তাঁর মর্যাদা অনুসারে থাকার জন্য বেশ বড়সড় বাংলো দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের বাংলো মন্ত্রী, সাংসদ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। তবে শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্য প্রিন্ট ওই বাংলোর প্রকৃত ঠিকানা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার খাতিরে যথার্থ প্রোটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমাঝে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে বের হন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকে ২৪ ঘণ্টা তাঁর চারপাশে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তিনি এই বাড়িতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। 

 

একটি সূত্র বলেছে, ‘তাঁর একটি আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা রয়েছে, কর্মীরা তাঁকে সাধারণ পোশাকে সর্বক্ষণ পাহারা দেন। একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে, তিনি এই স্তরের সুরক্ষা পাচ্ছেন। তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন। এখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

 

কয়েকটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ৫ অগাস্ট বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেদিন তাঁর সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানঘাঁটিতে দেখা করেন। এরপর দুদিনের মধ্যে তিনি বিমানঘাঁটিটি ছেড়ে যান।

 

দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানায়, ‘ওই বিমানঘাঁটিতে তিনি লম্বা সময় থাকতে পারতেন না। কারণ, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। তাই কয়েক দিনের মধ্যে তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত লুটেনস এলাকায় তাঁর জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।’

 

প্রিন্ট জানিয়েছে, ওই উচ্চ নিরাপত্তার এলাকায় অনেক প্রাক্তন ও বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি রয়েছে। তিনি প্রায়ই বাড়ির বাইরে যান কিনা জানতে চাইলে সূত্র বলেছে, ‘যখন প্রয়োজন হয় তখন প্রধান নিরাপত্তা গ্রুপকে জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link