SSR -এর কর্মীদের নিয়ে রমরমিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়েছেন রিয়া! প্রকাশ্যে হোয়াটসঅ্যাপ
সুশান্ত মামলা যেন ক্রমাগত অন্যদিকেই মোড় নিচ্ছে। সম্প্রতি, প্রকাশ্যে এসেছে মাদক চক্রে রিয়ার চক্রবর্তীর যোগ থাকার কথা। রিয়া চক্রবর্তীর সুশান্তের বাড়ির কর্মীদের নিয়ে কীভাবে মাদক ব্যবসা চালাতেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ED-র তদন্তে উঠে এসেছে। যা দেখলে যে কেউ চমকে উঠবেন।
রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটই প্রমাণ করে দিচ্ছে মাদক চক্রে রিয়ার যোগ রয়েছে। এই চ্যাট থেকে বোঝা যাচ্ছে, রিয়া, শৌভিক এবং তাঁদের বন্ধু বান্ধবদের বিশাল একটা গ্যাঙ, চরস, গাঁজা সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার করতেন। এই চ্যাটে আনন্দি এবং সিদ্ধার্থ পিঠানির মধ্যে মাদক নিয়ে কথাবার্তা হতে দেখা গিয়েছে। এই গ্রুপে এই দুজনের নাম আনন্দি এসএসআর ও সিদ্ধার্থ এসএসআর বলে সেভ করেছেন রিয়া।
স্যামুয়েল মিরান্ডার হোয়াটসঅ্যাপের এই স্ক্রিনশটেও মাদক নিয়ে কথাবার্তা হতে দেখা যাচ্ছে। এখানে গাঁজা ও মাদক নিয়ে গ্রুপের কারোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্যামুয়েল। যিনি কিনা সুশান্তের হাউস ম্যানেজার। এই চ্যাটের স্ক্রিনশটেও মাদক কেনাবেচার বিষয়ে কথা হয়েছে।
আয়ুশ বলে এই ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও তাঁর সঙ্গে সৌমিক চক্রবর্তীর মাদক নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
শৌমিক চক্রবর্তী এখানে রিয়াকে বলেছেন, আয়ুশকে বলে দাও তিনি তাঁর 'ডুবি' পেয়ে যাবেন। ডুবি অর্থাৎ ড্রাগ। এখানে রিয়া ও শৌমিকের মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় মাদক নিয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। যেখানে 'ডুবি' শব্দটি ব্যবহার হয়েছে।
রিয়া চক্রবর্তী ও SSR-এর বাড়ির কর্মীদের নিয়ে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম 'NIFW'। এই গ্রুপের সদস্য রয়েছেন আনন্দি SSR, সিদ্ধার্থ পিঠানি SSR, স্যামুয়েল মিরান্ডা SSR, রিয়া চক্রবর্তী, শৌমিক চক্রবর্তী সহ আরও কয়েকজন। ৩০ জুলাই-এর এই স্কিনশটে রিয়া কাউকে ''ডুবি প্রয়োজনীয়'' বলে অর্ডার করেছেন। জবাবে গ্রুপের কোনও সদস্য লিখেছেন পাওয়া গেছে। আয়ুশ লিখেছেন রোলিং। সিদ্ধার্থ পিঠানি লিখেছেন মিরান্ডা এখানে। ফোনের মালিক লিখেছেন ওয়াটার স্টোনের বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছে।
স্যামুয়েল মিরান্ডা এখানে AK47 -এবং 'ব্লুবেরি কুশ' নামে কোনও একটি মাদকের ছবি পাঠিয়েছেন। এই মাদকগুলি আসলে সিগারেটের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হত।
এদিকে সম্প্রিত সাক্ষাৎকারে রিয়া দাবি করেছেন, তিনি সুশান্তের জীবনে আসার আগে অভিনেতা মাদক নিতেন। তিনি এসে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। রিয়ার এই কথায় বেজায় চটেছেন সুশান্তের দিদি। আর এরপরই প্রমাণ হিসাবে তিনি রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট শেয়ার করেছেন।
রিয়ার এই মাদক দ্রব্য নিয়ে কথাবার্তার স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। লিখেছেন এটা কী চলছে! আমরা এবার কী সিদ্ধান্ত নেব। রিয়াকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শ্বেতা সিং কীর্তির এই টুইট দেখে অঙ্কিতা লোখান্ডে লিখেছেন, ''আমি হতবাক!''