শেষযাত্রায় সাহেব, প্রিয় `দাদা`কে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঋতুপর্ণা-রচনা

Wed, 19 Feb 2020-11:44 am,

নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষযাত্রায় সাহেব। রাতভর বাড়িতে শায়িত থাকার পর এদিন সকালে প্রথমে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তাপস পালের মরদেহ।

মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ তাপস পাল। রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় দেহ। সেখান থেকে গল্ফগ্রিনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।

এদিন সকালে প্রথমে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে যাওয়ার কথা না থাকলেও, পরে শিল্পীদের অনুরোধে সেখানে ১০ মিনিটের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সাহেবের নশ্বর দেহ। তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। বেলা ১টা পর্যন্ত সবার শ্রদ্ধাজ্ঞপানের জন্য রবীন্দ্র সদনেই শায়িত থাকবে দেহ।

কাল কলকাতা বিমানবন্দরে দেহ পৌঁছনোর পর থেকেই তাপস পালের শেষযাত্রার সমস্ত তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অভিনেতা শেষযাত্রায় অংশ নিতে রবীন্দ্রসদনে উপস্থিত আছেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, ভরত কল, শঙ্কর চক্রবর্তী।

তাপস পালের আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলি পাড়া। এদিন সকালে তাপস পালের গল্ফগ্রিনের বাড়ি থেকে 'দাদা' তাপসকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শোকবিহ্বল ঋতুপর্ণা বলেন, "কী বলব বলো, আমার কিছু বলার নেই। আমি বলে উঠতে পারব না। একটা শোনার মানুষ চলে গেল। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।" রবীন্দ্রসদনে তাপস পালের মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

প্রিয় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। বলেন, "তাপসদার সঙ্গে আমাদের কোনও ও হিরো, নায়ক, আমি পরিচালক, সেই সম্পর্ক ছিল না। একেবারেই পারিবারিক সম্পর্ক। কাজের মাঝে একসাথে খাওয়াদাওয়া, ইয়ার্কি। একটা অন্য মাপের মানুষ ছিল। সেই স্মৃতিগুলোই মনে পড়ছে।"

রবীন্দ্রসদনে তাপস পালের দেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সুব্রত বক্সী।  

অভিনয় থেকে রাজনৈতিক জীবন, একদিকে যেমন সাফল্যের শিখরে উঠেছেন। তেমনই আবার তাড়া করেছে বিতর্কও। জনপ্রিয় অভিনেতা থেকে ২ বারের বিধায়ক, ২ বারের সাংসদ হন তাপস পাল।

কিন্ত ভোট ময়দানে কুকথার তোড়, রোজভ্যালিকাণ্ডে জেলজীবন, সব মিলিয়ে নিজেকে শেষ জীবনে নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। জনমানস থেকে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। চলেও গেলেন নিঃসঙ্গভাবেই।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link