‘দাঁত বার করা’ পাথর, কীভাবে তৈরি হল?

Wed, 18 Jul 2018-3:16 pm,

একটি প্রস্তরখণ্ড আড়াআড়িভাবে শুয়ে রয়েছে এল্কহার্ট শহরের রিভারসাইড ড্রাইভ এবং লেক্সিংটন অ্যাভিনিউ-এর মাঝে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, প্রস্তরখণ্ডটির সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। কিন্তু কাছে এলেই অবাক হবেন! এমনও হয় নাকি!

পাথরটির শরীরে গিঁথে রয়েছে অজস্র মানুষের দাঁত। আকারে মোটা, সরু, লম্বা আবার রঙে কোনওটা হলুদ বা সাদা। কিছু কিছু দাঁত একেবারে কালো হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন দাঁত না মাজার অনভ্যাসে যা হয়!

এই প্রস্তরখণ্ড দেখেই আপনার প্রথম কৌতুহল হতে পারে, এত দাঁত এল কোথা থেকে? এল্কহার্ট শহরের এমন অদ্ভুত নির্দশন প্রায় ৭০ বছরের বেশি পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে। দাঁতযুক্ত প্রস্তরখণ্ডটি নিয়ে নানা মিথও জড়িয়ে রয়েছে।

তবে, যে ব্যক্তি এই প্রস্তরখণ্ডটি তৈরি করেছেন, তাঁর নাম জোসেফ স্টাম্প। পেশায় দন্ত চিকিত্সক। জানা গিয়েছে, তাঁর ৬০ বছরের কর্মজীবনে রোগীদের নষ্ট দাঁত তিনি সযত্নে রেখেছিলেন। তা বলে এ ভাবে ‘দাঁতের পাথর’ তৈরি কেন?

চিকিত্সক স্টাম্পের নাতনি জানিয়েছেন, তাঁর দাদুর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল একটি জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর। সেই কুকুরটি অকালে মারা যাওয়ার পর মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। জানা যায়, এরপরই তাঁর প্রিয় কুকুরের জন্য ডাক্তারবাবু স্মৃতি ফলক তৈরি করেন জমিয়ে রাখা রোগীর দাঁত দিয়ে।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ফলকটি তৈরি হয়েছে ১৯৪০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। বর্তমানে এল্কহার্টের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানের মধ্য দাঁতযুক্ত প্রস্তরখণ্ডটি অন্যতম।

১৯৭৮ সালে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান চিকিত্সক জোসেফ স্টাম্প। কিন্তু রয়ে গিয়েছে তাঁর দাঁত, থুড়ি তাঁর তৈরি দাঁতের পাথর!

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link