লগ্ন শুরুর মুখেই পাত্রকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে গেল পুলিস, কাঠগড়ায় পাত্রীর পরিবারও
দিন আন দিন খাওয়া পরিবার৷ মেয়ের পড়াশোনার খরচ আর চালাতে পারছিল না নরেন্দ্রপুরের খেয়াদহের দিনমজুর পরিবার৷ তাই ভেবেছিলেন মেয়েটাকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলে অন্তত তার থাকা খাওয়ার খরচা কমবে৷
নিকট এক আত্মীয়ই মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ দেখে দিয়েছিল৷ পাত্র বারুইপুরের বাসিন্দা বাপ্পা মণ্ডল৷ ব্যবসায়ী বাপ্পার আয় মোটের ওপর ভালোই! খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মেয়ের পরিবার৷ মেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে ভেবে বিয়েও ঠিক করে ফেলে পরিবার৷
ঠিক হয়ে যায় বিয়ের দিনক্ষণ৷ তবে যেহেতু মেয়ে নাবালিকা পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে শুরু হয় কানাঘুষো৷
বিয়ের লগ্ন মেনেই ছাদনাতলায় পৌঁছে যান বর৷ বিয়ের পিঁড়িতে তখন অপেক্ষায় পাত্রীও৷ আত্মীয়রাও মজা করছেন৷ আচমকাই হাজির উর্দিধারীরা৷ কী ব্যাপার! শুরু হয় গুঞ্জন৷ মেয়ের বাবা অবশ্য ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন আসল ব্যাপার৷ পাত্রী বিয়ের সাজেই সব দেখল৷ চোখের সামনে থেকে বরকে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে গেল পুলিস৷
নাবালিকা বিয়ে রুখতে তত্পর প্রশাসন৷ তৈরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও৷ সেই গ্রুপেই কোনওভাবে খবর এসেছিল এই বিয়ের! তড়িঘড়ি হাজির হয় পুলিস৷ নাবালিকাকেও হোমে পাঠানো হয়৷