EXPLAINED | Ugandan Man Fathered 102 Children: ১২ স্ত্রীর দৌলতে ১০২ সন্তান, ৫৭৮ নাতি-নাতনি! ৭০ বছরের এই ভাইরাল ব্যক্তিকে চেনেন?
খবর এবং খাবারের একাধিক মিল রয়েছে। বৈচিত্র্য়ের এবং মনের চাহিদা মেটানোর দিক থেকে তো বটেই। এই প্রতিবেদনে আপনারা চিনে নিন বিশ্বের সর্বাধিক সন্তানের পিতাকে। শিরোনাম পড়ে যদি চোখ কপালে উঠে থাকে, তাহলে বলতে হবে শুধু টিজারই দেখেছেন, সিনেমা এখনও দেখেননি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। নীলনদের অববাহিকায় অবস্থিত দেশেরই এক গ্রাম মুকিজা। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন মুসা হাসাইয়া কাসেরা।
কে এই মুসা হাসাইয়া কাসেরা? ৭০ বছরের বৃদ্ধ গ্রামবাসী এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। জীবনে ১২ বার বিয়ে করেছেন তিনি। ডজন স্ত্রীর দৌলতে তাঁর ঘর আলো করে এসেছে ১০২ সন্তান, সন্তারাও এখন বাবা-মা হয়ে গিয়েছেন। যে কারণে মুসার নাতি-নাতনির সংখ্য়া ৫৭৮ জন। এহেন পরিবার দেখে অনেকেই বলাবলি করা শুরু করেছেন যে, হাসাইয়ার পরিবারকেই একটি গ্রাম বা জেলা ঘোষণা করে দেওয়া উচিত!
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৭২ সালে তার প্রথমবার বিয়ে করেছিলেনমুসা। কয়েক দশক ধরেই তাঁর পরিবার দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। গবাদি পশু ব্যবসায়ী এবং কসাই হিসাবে মুসার পেশা পছন্দের কারণ ছিল গ্রামবাসীদের। তাঁরাই তাঁদের মেয়েদের সঙ্গে মুসাকে বিয়ে করা র প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও এখন উগান্ডায় নির্দিষ্ট ধর্মীয় ঐতিহ্যের অধীনে বহুবিবাহ বৈধ। তবে ১৯৯৫ সালের আগে পর্যন্ত সেই দেশে বাল্যবিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল না।
মুসার প্রথম সন্তান সান্দ্রা নাবওয়াইর তাঁর বিয়ের এক বছর পর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সন্তানদের বয়স এখন ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্য়ে। মুসার স্ত্রীদের মধ্যে যিনি সর্বকনিষ্ঠ, তাঁর বয়স এখন ৩৫! মুসার তার পরিবারের বিশালতা এক দিকে যেমন আশীর্বাদ তেমনই আবার বোঝাও! মুসার এমন অবস্থা হয়েছে যে, ১০২ সন্তানের ভিতর খুব বেশি হলে তিনি ৪০-৫০ জনকে নামে নামে চেনেন। এই কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন! স্বাভাবিক ভাবেই মনে নেই তাঁর ৫৭৮ জন নাতিপুতির নাম! পারিবারিক রেজিস্টার করেছেন মুসা। সেখানে যদিও সকলের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন তিনি। ভুলে গেলে রেজিস্টার দেখেই মনে করে নেন তিনি।
মুসা হাসাইয়া কাসেরা কিন্তু মোটেও সুখে নেই। রীতিমতো কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি এবং তাঁর পরিবার! এক জরাজীর্ণ বাড়িতেই থাকেন মুসা। বছরের পর বছর অবহেলার কারণে সেই বাড়ির এই বেহাল দশা! তাঁর বেশ কয়েক'টি মাটির কুঁড়েঘর রয়েছে। এক সময়ে তাঁর দুই একর জমিকেই তিনি পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য় যথেষ্ট বলে মনে করতেন! এখন আর তেমনটা নয়। ভরণপোষণের ক্ষেত্রেও বিপাকে পড়েছেন তিনি। তৃতীয় স্ত্রী জাবিনা বলছেন, 'খাবার সবে একেবার অপর্যাপ্ত। আমরা বাচ্চাদের এক বা দু'বার দিনে ভালো খাওয়াতে পারি!'