Cyclone Dana Landfall: চলেছে তীব্র ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড়ের লেজের অংশ প্রবেশ করেছে স্থলভাগে...
অয়ন ঘোষাল-পিয়ালি মিত্র: ধামারা থেকে উত্তরোত্তর পশ্চিম দিকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ভিতরকণিকার হাবালিকাঠি থেকে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তীব্র ঘূর্ণিঝড় "ডানার" ল্যান্ড ফল প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে সম্পূর্ণ হল। লেজের অংশ স্থলভাগে ঢুকে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০ নাগাদ ডানার ফরওয়ার্ড সেক্টর স্থল ভাগ স্পর্শ করে। ঘূর্ণিঝড়ের আই মধ্যরাত দেড়টা থেকে ভোর রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্থল ভাগে প্রবেশ। ঘূর্ণিঝড় ডানার লেজের অংশ সম্পূর্ণভাবে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ।
স্থলভাগে সম্পূর্ণভাবে ঢোকার পরই গতি কমেছে ঘূর্ণিঝড় দানার। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারে থাকলেও গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় রয়েছে। যেটা ছিল সর্বোচ্চ একশো কুড়ি কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।দুপুরের মধ্যে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
যার জেরে আগামী ২-৩ ঘণ্টায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে- ডায়মন্ড হারবার ৬৭ মিলিমিটার। দীঘা ৩৭ মিলিমিটার। হলদিয়া ৬৩ মিলিমিটার।
আজ দুপুরের মধ্যে এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে উত্তর ওড়িশা অতিক্রম করবে। তখন এটি দুর্বল হয়ে সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে শুধুমাত্র সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় ছত্রিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ অভিমুখী এগোবে।
মধ্যরাতের পর থেকেই সমুদ্রের উপর হাওয়ার গতি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার সকালে তা ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন আবহা্ওয়াবিদরা।বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।