কখনও হেমা কখনও শ্রীদেবী, জন্মদিনে ভাইরাল জিতেন্দ্রর সঙ্গিনীদের গল্প
৭ এপ্রিল ৭৮-এ পড়লেন জিতেন্দ্র। জন্মদিনে ভাইরাল হল জিতেন্দ্রর জীবনের একের পর এক ভালবাসার গল্প। শোভা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে এবং বিয়ের পর কার কার সঙ্গে নাম জড়ায় বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতার দেখুন...
শোভা কাপুরের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যখন টালমাটাল চলছে জিতেন্দ্রর, সেই সময় নাকি হেমা মালিনীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান জিতেন্দ্র। ওই সময় ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমার সম্পর্ক থাকলেও তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে হেমা এবং জিতেন্দ্রর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতেও বসে পড়েন। কিন্তু জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে মত্ত অবস্থায় হাজির হন ধর্মেন্দ্র। হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়ের আসরে মত্ত অবস্থায় ধর্মেন্দ্র হাজির হওয়ার পর জিতেন্দ্রর কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়ে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে যান হেমা। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, জিতেন্দ্রর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন না তিনি। ফলে হেমার সঙ্গে জিতেন্দ্র বিয়ে ভেঙে যায়
কেরিয়ারের মাঝ পথে একের পর এক দক্ষিণী সিনেমা করতে শুরু করেন জিতেন্দ্র। ওই সময় শ্রীদেবীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। শ্রীদেবী মুম্বইতে আসার পর তাঁর সঙ্গে পরপর দুটি সিনেমা করেন জিতেন্দ্র। ওই সময়ই শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে পেজ থ্রি-র পাতা। কিন্তু ওইসময় শোভার সঙ্গে বিয়ের পর একতা কাপুর এবং তুষার কাপুরের বাবা হয়েছেন জিতেন্দ্র। শ্রীদেবীর সঙ্গে জিতেন্দ্র বন্ধুত্বে ইতি না টানলে দুই সন্তানকে নিয়ে শোভা চলে যাবেন বলে হুমকি দেন। এরপরই নাকি শ্রী-র সঙ্গে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায় জিতেন্দ্রর।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে জয়াপ্রদার নামও জড়িয়ে পড়ে এক সময়। কিন্তু জয়াপ্রদার দিক থেকে সম্পর্ক নিয়ে হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত দেওয়া হলেও জিতেন্দ্র সেভাবে রাজি ছিলেন না। শোনা যায়, শ্রীদেবীর সঙ্গে বিচ্ছেদর পরই নাকি জয়াপ্রদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন জিতেন্দ্র। শুধু তাই নয়, বলিউডে তিনি এমন একজন অভিনেতা, যিনি যে কোনও কাউকে অভিনেত্রী তৈরি করতে পারেন। শ্রীদেবীকে তা বোঝানোর জন্যই নাকি জয়াপ্রদার সঙ্গে একের পর এক সিনেমার স্বাক্ষর করতে শুরু করেন জিতেন্দ্র
মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে জিতেন্দ্রর সঙ্গে শোভা কাপুরের সম্পর্ক তৈরি হয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিতেন্দ্র যখন বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করতে শুরু করেন, সেই সময় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে কর্মরত শোভা। এরই মাঝে বিয়ের দিন ঠিক হলে, ভারতে ফিরে আসেন কিন্তু সাতপাকে বাঁধা পড়ার আগেই মৃত্যু হয় জিতেন্দ্রর বাবার। ফলে চাকরি ছেড়ে শোভা মিসেস কাপুর হবেন বলে সংসারে মন দেন। কিন্তু একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়তে থাকায় বিয়ের দিন পিছিয়ে দিতে শুরু করেন জিতেন্দ্র। এরপর বিদায়ি বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করায় শোভার সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনক্ষণ ফের নির্ধারণ করা হয়। এসবের মাঝে ফের জিতেন্দ্রর সঙ্গে একের পর এক অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে পড়ায় মন ভেঙে যায় শোভার। এসবের মাঝেই ফের ১৯৭৪ সালের ৩১ অক্টোবর শোভার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন জিতেন্দ্র