`তোর সঙ্গে আমার একটা অংশ নিয়ে চলে গেলি চিকু, Mommy loves you` Mimi

Mon, 19 Apr 2021-2:46 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: মন খারাপ মিমির। চিকুকে ছাড়া একদিনও চলত না তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকাকে ফলো করলেই বোঝা যায় শুটিংয়ে আউটডোর গেলেও চিকুকে কতটা মিস করতেন তিনি। সন্তানসম পোষ্যকে হারিয়ে আবেগপ্রবণ মিমি। রইল চিকুর সঙ্গে মিমির আবেগঘন মুহূর্তের অ্যালবাম।

অসুস্থ ছিল আট বছরের ল্যাবরেডর চিকু। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিল মিমির বড় সন্তান। শেষ কদিন খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় পোষ্যর।

মা বাবার পর যদি কাউকে মিমি ভালবাসেন সে চিকু, তাঁর বড় সন্তান। পোষ্যর ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকেই মন খারাপ ছিল অভিনেত্রীর। তবে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে বড় ডাক্তার দেখানোর পর আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছিল মিমির চ্যাম্প।

ছুটির দিনগুলো চিকুর সঙ্গে খুঁনসুটি দিয়ে শুরু হত মিমির। টালিগঞ্জের এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে এই নিয়ে তিন নম্বর ফ্ল্যাট বদল করেছেন মিমি, চিকুই ছিল তাঁর কনস্ট্যান্ট। তাঁর সুখ, দুঃখের সঙ্গী। আজ তাই চিকুকে ছাড়া মিমির খিদে নেই, চোখে ঘুম নেই, মিস করছেন সন্তানকে।

চিকুকে আদরে ভরিয়ে রাখতেন মিমি। ঘুম থেকে উঠে তাঁকে খুঁজতেন। আর চটকে দিতেন খুব।

লকডাউনেও পুরো সময়টা কাটিয়েছিলেন চিকু ও ম্যাক্সের সঙ্গেই। ছাদে ঘোরাতে নিয়ে যেতেন, ঘুরতেও নিয়ে যেতেন, চিকুর আনন্দেই ছিল মিমির আনন্দ।

আট বছর আগে চোদ্দই নভেম্বর চিকুকে নিয়ে এসেছিলেন মিমি। ছোট থেকে আজ অবধি চিকু তাঁর নয়নের মণি। ছোট ছোট প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেন নায়িকা।

ছবি তুলতে একদম চাইত না চিকু। সেই বেলায় চিকু ছিল খুব মুডি। আর যখন ছবি তুলতো, তখন রাজার মত পোজ দিত।

হ্যান্ডসম বয়কে জামা পরিয়ে দিতেন মিমি, কখনও নিজের ওড়না দিয়ে জড়িয়ে নিতেন কোলের কাছে। গাল টিপে দিতেন ইচ্ছে হলেই, চিকুও আদর খেত খোশমেজাজেই।

মায়ের আঁচল দিয়ে যেমন সন্তানকে আগলে রাখে, চিকুকেও শেষ দিন পর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন মিমি। তবে কষ্ট পাচ্ছিল চিকু, খাবার খেতে পারছিল না, চোখে দেখতে পারছিলেন না মিমি। তাই কষ্ট লাঘব হওয়ায় শান্তি পেল চিকু, এটুকুই সান্ত্বনা নিজের কাছে। সারাজীবনের জন্য মিমির একটা অংশ নিয়ে চলে গেল চিকু, ভালবাসা জানিয়ে পোস্ট মিমির।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link