অমৃতাংশু ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বকাপ একটা এমন জায়গা যেখানে মাঝে মাঝে খেলাটা গৌন হয়ে যায়, মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবেশ, তার মানুষজন, তার পারিপার্শ্বিক বৈচিত্র। বিশ্বকাপের আসর যেখানে বসে সেখানে একঘেয়েমির কোনও জায়গা নেই। বরং এমন এমন সব লোকের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় যাঁরা বদলে দেন জীবনকে দেখার নজরটাই। এরকমই একজন ব্যতিক্রমী চরিত্র জুলিয়ান।


আরও পড়ুন - বিশ্বকাপই ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি


স্ত্রী আর ছোট্ট মেয়েকে বাইকের পেছনে বসিয়ে রওনা দিয়েছিল আর্জেন্টিনা থেকে। সেটা ২০০২ সাল। তারপর থেকে বাইকের চাকা আর থামেনি। একটার পর একটা দেশ ঘুরে চলেছেন জুলিয়ান। মাঝে মাঝে এক দেশ থেকে কিছু হাতের কাজ, কিছু ট্র্যাডিশনাল জিনিসপত্র তুলে নিয়েছেন বাইকে। সেটা আবার অন্য দেশে গিয়ে বিক্রি করেছেন খরচ চালানোর জন্য।



সেই বিশ্বভ্রমণের পথে ঘুরে গেছেন ভারতেও। ভালো লেগেছে এখানকার মানুষজন, এখানকার প্রকৃতি বিশেষ করে হিমালয়কে। কিন্তু তাঁর এতদিনের বিশ্বভ্রমণে যে ফাঁক থেকে গেছে, সেটা বুঝেছেন রাশিয়ায় এসে। এবারই প্রথম একটা দেশে এলেন যেখানে বিশ্বকাপ হচ্ছে। জুলিয়ান বলছিলেন, "আগের সব দেশের থেকে এবারের অভিজ্ঞতাটা একদম আলাদা। এত মানুষ, এত রঙ, এত উচ্ছ্বাস বোধ হয় বিশ্বকাপের আসরেই পাওয়া যায়,এটা আমি আগে বুঝতে পারিনি। তাই এবারের অভিজ্ঞতাটা আমার কাছে একদম আলাদা।"


আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে 'বন্ধুত্বে'র বার্তা রাশিয়ার


সেন্ট পিটার্সবার্গের অ্যালেক্স স্কোয়ারে একটা চাতালের ওপর নিজের বাইকটা দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন জুলিয়ান। সামনে একটা বিরাট বড় মানচিত্র বিছিয়ে রাখা। সেই মানচিত্রের ওপর দাগ দিয়ে দেখানো আছে কোথায় কোথায় গেছেন তিনি। আর পাশে আপন মনে খেলে বেড়াচ্ছিল তার ছোট্ট মেয়ে লিলিয়ান। বিভিন্ন দেশের ফুটবল সমর্থকরা এসে ভিড় জমাচ্ছিলেন জুলিয়ানের পাশে,ছবি তুলছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা জানছিলেন। আর সবার কোলে কোলে লিলিয়ান ঘুরে বেড়াচ্ছিল সত্যিকারের বিশ্বনাগরিক হয়ে।