নিজস্ব প্রতিনিধি : এমনটা সচরাচর হওয়ার কথা নয়। সাংবাদিকের সামনে বসে রয়েছেন কোনও সেলেব্রিটি! আর সাংবাদিক তাঁর উপর ঝাঁপয়ে পড়ে ইন্টারভিউ চাইছেন না! তবে সাংবাদিকতা পেশাতেও হয়তো ব্যতিক্রমী বলে একটা শব্দ থাকে। পেশাগত সত্ত্বা জাহির করে সবাই সব সময় গায়ে পড়া মানসিকতা দেখাতে পারেন না। ঠিক এমনই ব্যতিক্রমী হয়েছিলেন সোহিনী মিত্তর। পাশে কিংবদন্তি ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলে বসেছিলেন। কিন্তু লজ্জায় তাঁর সঙ্গে কথাটুকু বলতে পারছিলেন না সোহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  এ কেমন ক্রিকেট! ১১.৫ ওভারে ১০ রানে ২০ উইকেট!


বেঙ্গালুরু-মুম্বই ফ্লাইট। একইসঙ্গে ট্রাভেল করছিলেন সোহিনি ও কুম্বলে। ফ্লাইট টেক-অফ করার আগেই সোহিনী একটা টুইট করেন- ''কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে আমার সঙ্গে কই ফ্লাইটে ট্রাভেল করছেন! আমি ওনাকে একবার দেখলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচটার কথা মনে পড়ে গেল হঠাত্। সেই ম্যাচে চোয়াল ভেঙে যাওয়ার পর ব্যান্ডেজ বেঁধেই খেলেছিলেন তিনি। ক্রিকেট-স্মৃতি আমাকে এত তাড়া করে বেড়ায় কেন!'' ঠিক তাঁর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোহিনীর আরও একটা টুইট, ''আমি এগিয়ে গিয়ে অনিল কুম্বলে স্যরের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু পারছি না। আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে।''


আরও পড়ুন-  নারীকে অসম্মান! বিরাটকাণ্ড বাঁধিয়ে ট্রোলড কোহলি


আর পাঁচজন ক্রিকেট-ভক্ত যা করনে সোহিনীও তাই করলেন। নিজের দুটো টুইট-এ কুম্বলেকে ট্যাগ করলেন। তিনি হয়তো আশাও করেননি, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কুম্বলে সেই টুইট পড়ে ফেলবেন। বাস্তবে যেটা ভাবেননি, সেটাই হল। কুম্বলে তাঁকে জবাব দিলেন, ''নিসংকোচে আমার কাছে আসতে পারো। ফ্লাইট টেক-অফ করার পর এসে আমাকে হাই বলে যেও।'' এর পর সোহিনী যেন হাত চাঁদ পাওয়ার মতো প্রতিক্রিয়া দিলেন। প্রায় ঝড়ের গতিতে টুইট করে কুম্বলেকে জানালেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তাঁর সামনে চলে আসবেন। শেষমেশ সোহিনীর বোর্ডিং পাসে কুম্বলে অটোগ্রাফ দিলেন। সোহিনী এর পর লিখলেন, ''এই বোর্ডিং পাস আমাকে বাঁধিয়ে রাখতে হবে। স্বপ্নপূরণ।''