২১তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের পর Rafael Nadal-কে শুভেচ্ছা জানালেন Federer, Djokovic
আবার কাছাকাছি আধুনিক টেনিসের `ব্রম্ভা,বিষ্ণু, মহেশ্বর`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই হয়ে থাকে। কালের নিয়মে সেই নজিরের মালিক বদলে যায়। রজার ফেডেরার ও নোভাক জকোভিচের ক্ষেত্রে তেমনটাই তো হল। চরম রুদ্ধশ্বাস ও মহাকাব্যিক ফাইনালে ড্যানিল মেদভেদেভকে ২-৬, ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫ ব্যবধানে হারালেন রাফায়েল নাদাল। আর জয়ের পরেই নিজের ক্যাবিনেটে তুলে নিলেন ২১তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম। তাই তো সবার শীর্ষে চলে যাওয়া ‘স্পেনীয় যোদ্ধা’কে শুভেচ্ছা জানালেন ফেডেরার ও জোকার।
চার বছর আগে বিশ্বের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার নজির গড়েছিলেন সুইস তারকা। সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেন নাদাল এবং নোভাক জকোভিচ। তবে এবার ফেডেরার ও জোকারের সেই নজির নিজের নামে করে ফেললেন নাদাল। বিশ্বের প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Australian Open: আবেগপ্রবণ Rafel Nadal-এর মন্ত্র ‘জব তক হ্যায় জান’
হাঁটুর চোটের কারণে টেনিস থেকে দূরে রয়েছেন ফেডেরার। তবে টানটান ফাইনাল দেখতে ভুলে যাননি। তাই তো ম্যাচ শেষ হতেই রাফাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেডেরার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘কী অসাধারণ একটা ম্যাচ! বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার জন্য আমার বন্ধু এবং পরম শত্রু রাফায়েল নাদালকে হার্দিক শুভেচ্ছা। কয়েক মাস আগেও আমরা একে অপরকে মজা করে বলেছিলাম যে, কী ভাবে আমাদের জীবন ক্রাচের উপর নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে কী অসাধারণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ালে তুমি। সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নকে কখনও ছোট করে দেখা উচিত নয়।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হওয়ার আগে জোকারকে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সেই দেশের কোভিডবিধি মেনে না নেওয়ার জন্য সার্বিয়ার টেনিস তারকাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘ডিপোর্ট’ পর্যন্ত হতে হয়েছে। জকোভিচ টিকা নিতে অস্বীকার করার জন্য তাঁর প্রতি তোপ পর্যন্ত দেগেছিলেন নাদাল। তবে এমন বিশেষ দিনে সব বৈরিতা ভুলে প্রবল প্রতিপক্ষ রাফা-কে শুভেচ্ছা জানালেন জোকার।
টুইটারে জকোভিচ লিখেছেন, ‘২১টা গ্রান্ডস্ল্যাম জয় কিন্তু মুখের কথা নয়। তুমি আমার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। কিন্তু তোমার লড়াকু মনোভাব অস্বীকার না করে উপায় নেই। আরও একবার কুর্নিশ জানাই।‘
ফেডেরারের আরও লিখেছেন,‘আমার এবং বিশ্বের অগণিত মানুষের কাছে তোমার কঠোর পরিশ্রম, দায়বদ্ধতা এবং লড়াকু মানসিকতা একটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তোমার সঙ্গে এই সময়টা ভাগ করে নিতে পেরে এবং তোমাকে আরও সাফল্য পাওয়ার জন্য উজ্জীবিত করতে পেরে আমি গর্বিত। গত ১৮ বছর ধরে তুমিও আমার জন্যে সেটাই করেছ। আশা করি ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারবে। তবে আগে এটা উপভোগ করো।’
তিনজন যেন আধুনিক টেনিস জগতের ব্রম্ভা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। ত্রিমুতিই ‘সর্বকালের সেরা’। তাই এমন বিশেষ দিনে তিন গ্রেট একে অপরের কাছে চলে আসবেন এটাই তো স্বাভাবিক।