Babar Azam on Abdullah Shafique : মহাকাব্যিক ইনিংস খেলা ওপেনারের প্রশংসা করলেন বাবর, নির্লিপ্ত ম্যাচের সেরা
শেষ পর্যন্ত লড়াই বজায় রেখে টেস্ট জিতে নিল পাকিস্তান। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম শতরান করেছিলেন আবদুল্লা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর এ বার অপরাজিত রইলেন ১৬০ রানে। ফলে চার উইকেটে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল বাবর আজমের দল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এটাই টেস্ট ক্রিকেটের মজা। আবদুল্লা শফিকের (Abdullah Shafique) জন্য কালের পর কাল বেঁচে থাকবে লাল বলের খেলা। ২২ বছরের পাকিস্তানের (Pakistan) ওপেনারকে সেলাম জানাচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়া। গলের বাইশ গজে তাও আবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে শেষদিন ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা কিন্তু মুখের কথা নয়। ৪০৮ বলে অপরাজিত ১৬০। ৫২৪ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে মারলেন মাত্র ৭টি চার ও ১টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ৩৯.২১। তাঁর ধৈর্যকে কুর্নিশ জানালেন অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam)।
ম্যাচের শেষে বাবর আজম বলেন, "আবদুল্লার জন্যই আমরা ইতিহাস গড়তে পারলাম। ওকে কুর্নিশ জানাই। লক্ষ্য বড় হলেও আমাদের রান তাড়া করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। মাত্র ২২ বছর বয়সে এমন পরিণতি বোধ দেখা যায় না। তবে আবদুল্লা ফের সবাইকে ভুল প্রমাণিত করল। ওর ধৈর্যশীল ব্যাটিং দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ।"
চতুর্থ দিন পাক অধিনায়ক বাবর আজম ৫৫ রানে ফিরে গেলেও, ১২২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। ৩ উইকেটে ২২২ রানে দিন শেষ করে পাক দল।
জয়ের জন্য শেষ দিন পাক দলের দরকার ছিল ১২০ রান। সেখানে শ্রীলঙ্কার টার্গেট ছিল সাত উইকেট। আবদুল্লা একটা দিক আগলে রাখলেও, অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পাক দল। এরইমধ্যে উইকেটকিপার রিজওয়ান ৭৪ বলে ৪০ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে যান।
তাই শেষ পর্যন্ত লড়াই বজায় রেখে টেস্ট জিতে নিল পাকিস্তান। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম শতরান করেছিলেন আবদুল্লা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর এ বার অপরাজিত রইলেন ১৬০ রানে। ফলে চার উইকেটে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল বাবর আজমের দল।
তবে ৩৪২ রান তাড়া করতে নেমে রেকর্ড গড়ে জিতলেও নির্লিপ্ত ম্যাচের সেরা। তিনি বলেন, "আমার ইনিংস দলের জয়ে কাজে লেগেছে। এটাই তো বড় প্রাপ্তি। পঞ্চম দিন রান তাড়া করে জেতা খুব সহজ ছিল না। বল ভাল স্পিন করছিল। তবে বাবর আজম আমার কাজ সহজ করে দেয়। বাবর এই মুহূর্তে দুনিয়ার সেরা ব্যাটার। ওর কাছ থেকে আমরা রোজ কিছু না কিছু শিখছি। বাবর ক্রিজে ছিল বলেই আমি বড় রান গড়তে পারলাম।"
আরও পড়ুন: Abdullah Shafique: বাবা-কাকাও খেলতেন ক্রিকেট! চিনে নিন শ্রীলঙ্কায় ইতিহাস লেখা আবদুল্লাকে